নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে প্রথমে জারি করা হলেও জীবন-জীবিকা ও দেশের অর্থনীতির স্বার্থে ‘পরীক্ষামূলকভাবে’ লকডাউন তুলে দিয়ে সার্বিক বিষয়ে কঠোর নজরদারি করছে সরকার। তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে দেশে কঠোর লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
শনিবার (৩০ মে) রাতে গণভবনে করোনা মোকাবিলা সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিদায়ী স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম, করোনা মোকাবিলা সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ, কমিটির সদস্য অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান এবং কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বিক আলোচনা হয়।
এছাড়াও বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ডা. আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ এবং প্রধানমন্ত্রীর সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
লকডাউন তুলে নেওয়ার পর যাতে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে বাধ্য হয়, সে বিষয়ে বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন খুলে দেওয়া এবং পরবর্তী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদি দেখা যায়, সংক্রমণ বেশি বাড়ছে তাহলে সরকার আবার কঠোর লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে।
চলমান লকডাউন উঠিয়ে নেওয়ার অর্থ হলো দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আনা, নিম্ন আয়ের মানুষ যারা খুব সংকটে আছে তাদের একটু সুবিধায় রাখা। করোনা প্রাদুর্ভাবের পর সরকার লকডাউন দিলেও সাধারণ মানুষ সেভাবে মানেনি। ঈদে দলে দলে গ্রামের বাড়ি ছুটে গেছেন, আবার ঢাকায় ফিরেছেন। এজন্য সরকার চাচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলুক। এজন্য কঠোরভাবে নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের সমাবেশ এবং জমায়েত না করা, কর্মক্ষেত্র-গণপরিবহনে মাস্ক-গ্লাভস পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া, মৃদু উপসর্গের রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করা, অযথা করোনা পরীক্ষা করিয়ে টেস্টিং কিটের ওপর চাপ না ফেলা, গ্রাম পর্যায়ে করোনা সম্পর্কে আরো সচেতনতা বাড়ানোসহ সার্বিক বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে তিনি কঠোর মনিটরিংয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন।