নিজস্ব প্রতিবেদক: ই-কমার্সের নামে লাখো গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। আকর্ষণীয় অফার, অল্প পুঁজিতে অধিক লাভের প্রলোভন বা ধর্মের দোহাই দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয় এসব অর্থ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যেই ইভ্যালি, এহসান গ্রুপ ও ই-অরেঞ্জের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন।
নজরদারিতে আছে আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অন্তত এক ডজন কর্ণধার ও সহযোগী। চলছে পুলিশ-র্যাবসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বহুমুখী তদন্ত। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাদেরও যেকোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে। এদিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান (তার স্ত্রী) শামীমা নাসরিনকে আজ আদালতে তোলা হবে।
গত বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে গুলশান থানায় মামলায় গ্রেফতার করে র্যাব।
এদিকে ইভ্যালির বিরুদ্ধে করা রাজধানীর গুলশান থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিষ্ঠানের সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমাকে আদালতে তোলা হবে।
সূত্র বলছে, রিমান্ডে রাসেল দাবি করেছেন-তিনি মুক্তি পেলেই পাওনা টাকা গ্রাহককে ফিরিয়ে দিতে পারবেন। গ্রাহকই এই অর্থ দেবে। ই-কমার্স ব্যবসার এটি একটি প্রচলিত বিষয়। এটা কোনো প্রতারণা নয়। এটা অর্থ আত্মসাৎও নয়। এখানে গ্রাহকের টাকা বিক্রেতাকে দেওয়া হয়। বিক্রেতা তা দিয়ে পণ্য দেন। রিমান্ডের শুরুর দিকে রাসেল কিছুটা অসুস্থ বোধ করছিলেন। তবে তার মধ্যে সেভাবে অনুশোচনা ছিল না।
জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওহিদুল ইসলাম বলেন, রিমান্ডে ইভ্যালি ও তার কার্যক্রমের নানা দিক নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রিমান্ডের শেষ দিনেও রাসেল দম্পতিকে এক টেবিলে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখ টাকা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সান নিউজ/এনকে