নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। দেশের এই সংকটকালে ব্যালান্স অব পেমেন্ট ও রাজস্ব চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে ৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার জরুরি সহায়তা দিচ্ছে।
র্যাপিড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি অ্যান্ড দ্য র্যাপিড ফাইন্যান্সিং ইনস্ট্রুমেন্টের আওতায় এই জরুরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় ২৯ মে এই সহায়তার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের অর্থনীতি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজন হলে তারা বাংলাদেশকে আরও সহায়তা দেবে। এ ছাড়া জরুরি সহায়তার অর্থ যাতে যথাযথ ভাবে ব্যবহার করা হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ব্যবস্থাও প্রণয়ন করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফ জানিয়েছে, 'কোভিড-১৯-এর প্রভাবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান দুটি খাত—তৈরি পোশাক রপ্তানি ও রেমিট্যান্স মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ একদিকে রোগের বিস্তার ঠেকানোর চেষ্টা করছে, অন্যদিকে তার প্রভাবে অর্থনীতিতে শ্লথগতি দেখা যাচ্ছে। এতে রাজস্ব ঘাটতি বাড়ছে। ব্যালান্স অব পেমেন্টের ক্ষেত্রেও ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
আইএমএফ মনে করে, এই জরুরি সহায়তা বাংলাদেশকে অর্থায়নের ঘাটতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে। পাশাপাশি রোগের বিস্তার ঠেকাতে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও সহায়তা পেতে কাজ করবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যাংকের প্রশংসা করে আইএমএফ বলেছে, 'বাংলাদেশ ব্যাংক তারল্য ঘাটতি মেটাতে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে এবং আর্থিক খাতে যাতে অর্থনীতির সহায়ক হতে পারে, সেই ব্যবস্থাও নিয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থার আরও অবনতি হলে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ছাড় দিতে পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত হবে, এই ধাক্কা সামলাতে ধারাবাহিকভাবে মুদ্রার বিনিময় হার বাড়ানো, সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঠিক রাখা।'
করোনার সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার দরিদ্র ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য তাৎক্ষণিকভাবে যে সহায়তা প্রকল্প হাতে নিয়েছে, আইএমএফ এর প্রশংসা করেছে। সামষ্টিক অর্থনীতির সম্ভাবনা অক্ষুণ্ণ রেখে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সরকার সহায়তা করেছে। এসব পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে আইএমএফ।
সান নিউজ/ আরএইচ