নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০ সেপ্টেম্বর খুলনার দিঘলিয়া, বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন এবং ভোটগ্রহণে নির্বাচনী এলাকায় কতিপয় যান চলাচল ও অস্ত্র ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞারোপ করা হয়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোটগ্রহণ দিনের পূর্ববর্তী মধ্যরাত (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে (২০ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক, পিকআপ, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
তবে ইঞ্জিন চালিত ক্ষুদ্র নৌযান বা জনগণ তথা ভোটারদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ক্ষুদ্র নৌযান নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। নির্বাচনী বিধিনিষেধ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনী এজেন্ট দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে শিথিলযোগ্য।
নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজে যেমন অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রম ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। সেই সঙ্গে ভোটার ও জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে সকল নৌযান ও দূরপাল্লার নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের পূর্বে সাত দিন, ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের পাঁচ দিন অর্থাৎ মোট ১৩ দিন পর্যন্ত বৈধ লাইসেন্সধারীগণ অস্ত্রসহ চলাচল বা অস্ত্র প্রদর্শন করতে পারবেন না।
তবে নির্বাচনী কাজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল বাহিনীর সদস্যদের ও বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি এবং বেসরকারি দপ্তর, আর্থিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনাসমূহে নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরীদের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
সান নিউজ/এফএআর