কূটনৈতিক প্রতিবেদক: জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশ নিতে আজ নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংস্থাটির ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি আজ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ত্যাগ করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চাটার্ড ফ্লাইট শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহন করে হেলসিঙ্কির উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ছেড়ে যাবে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফরের দেড় বছর পরে এটি তার প্রথম বিদেশ সফর। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এবং সেখানে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য সরকারি সফরের অংশ হিসেবে ১৯ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন। নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে শেখ হাসিনা হেলসিঙ্কিতে দুইদিনের যাত্রা বিরতি করবেন।
প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল চারটায় হেলসিঙ্কি থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। একইদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেবেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন
জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার ভাষণে তিন ইস্যুতে অধিক গুরুত্ব দেবেন। এগুলো হলো- বিশ্বে করোনা টিকা বিতরণে সমতা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু।
আবদুল মোমেন বলেন, এ বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে করোনা টিকা বিতরণে বৈষম্য দূর করার বিষয়টি অধিক গুরুত্বসহ আলোচনা করা হবে।
ড. মোমেন বলেন, এ বছর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে করোনা পরিস্থিতি, টেকসই উপায়ে পরিস্থিতির অবসান ঘটানো ও পূর্বাবস্থায় ফিরে আসার বিষয়গুলো অধিক গুরুত্ব পাবে। প্রধানমন্ত্রী অধিবেশনে কোনরকম বৈষম্য ছাড়াই টিকাকে গণপণ্য হিসেবে বিচেনার জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করবেন।
তিনি আরও বলেন, করোনা ইস্যু নিয়ে আলোচনা ছাড়াও কপ২৬ অনুষ্ঠানের আগে জাতিসংঘ অধিবেশনে জলবায়ু ইস্যু নিয়েও আলোচনা করা হবে। যা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম রাখতে এবং অভিযোজন ও অভিবাসনের জন্য আরও অর্থায়ন চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ অধিবেশন চলার সময় পৃথক অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনার আয়োজন করবে।
সান নিউজ/এফএআর