সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: শেখ শাকিল হোসেন ও এসএম শাহিন আলম দুই বন্ধু। তারা মাত্র ৪ হাজার ৭০০ টাকায় চাঁদে জমি কিনেছেন। সম্প্রতি মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’ দুই বন্ধুকে এক একর জমির দলিলও বুঝিয়ে দিয়েছে।
শালিক ও শাহিন দাবি করেন, বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) তারা জমির দলিল পেয়েছেন। তাদের কেনা জমি চাঁদের কোথায় রয়েছে, সেটি ম্যাপে দাগ টেনে দেখিয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
শাকিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষ এবং শাহিন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে স্নাতক একই বর্ষের শিক্ষার্থী। শাহিন শ্যামনগরের পাতাখালি গ্রামের এবং শাকিল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জোড়দিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে শাহিন বলেন, গণমাধ্যমে জেনেছি চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহের জমি বিক্রি হয়। কিছুদিন আগে এক বাংলাদেশি মঙ্গলে জমি কিনেছেন। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে জানতে পারি। এরপর আমরা দুই বন্ধু চাঁদে জমি কেনার পরিকল্পনা করি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে ভারতের বিনোদন জগতের বহু তারকা চাঁদে জমি কিনেছেন। শখ থেকে চাঁদে জমি কেনার প্রসেস চালিয়ে যাই। অবশেষে আমরা জমি কিনতে পেয়েছি। আমরাই প্রথম বাংলাদেশি, যারা চাঁদে জমি কিনেছে।
শাকিল বলেন, ওই প্রতিষ্ঠান থেকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, জর্জ ডব্লিউ বুশ ও রোলান্ড রিগ্যানও চাঁদের জমি কিনেছেন। এখন আমরা দুই বন্ধু সেখানে জমির মালিক হয়েছি। কল্পনার রাজ্যে আমাদের এক টুকরো রয়েছে। এতে আমরা দারুণ উচ্ছ্বসিত।
চাঁদে যাওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা শখের বসে জমি কিনেছি। চাঁদ বসবাসের যোগ্য কি-না তা জানি না। যাওয়ার সুযোগ তৈরি হলে অবশ্যই যাবো।
শাকিল বলেন, চাঁদের বিভিন্ন স্থানে জমির ভিন্ন ভিন্ন দাম। মালয়েশিয়ান প্রবাসী এক বড় ভাইয়ের কার্ডের মাধ্যমে ৫৫ ডলারে জমি কিনেছি।
তাদের তথ্যানুযায়ী, চাঁদে জমির দাম প্রতি একর ২৪.৯৯ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৪৯৯ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২১২৫ টাকা থেকে ৪২৪৩৭ টাকা।
জানা গেছে, জমি কেনার পর ক্রেতাকে একটি বিক্রয় চুক্তি, কেনা জমির একটি স্যাটেলাইট ছবি এবং জমিটির ভৌগলিক অবস্থান ও মৌজা-পর্চার মতো আইনি নথিও পাঠিয়ে থাকে সংস্থাটি। এছাড়া, কেউ যদি বেশি ব্যয় করতে রাজি থাকে, তাহলে তাদের জন্য চাঁদের সম্পূর্ণ মানচিত্র এবং অন্যান্য তথ্যও সরবরাহ করা হয়।
সাননিউজ/এমআর