নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষা সনদে বয়স জালিয়াতি করে বায়তুল মোকাররমে ইমামতি নেয়ার যে অভিযোগ সিনিয়র পেশ ইমাম মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে উঠেছে তা নিষ্পত্তি করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কুদ্দুস বাদল।
পরে আব্দুল কুদ্দুস জানান, ২০১২ সালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন মিজানুর রহমান। বর্তমানে সিনিয়র পেশ ইমামের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত খতিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারের অডিট বিভাগের এক প্রতিবেদনে, জাতীয় মসজিদের এই ভারপ্রাপ্ত খতিবের বিরুদ্ধে বয়স জালিয়াতি করে ইমাম পদে নিয়োগ পাওয়ার তথ্য উঠে এসেছে।
এই আইনজীবী জানান, অডিট বিভাগের প্রতিবেদনে ইমাম মিজানুরের জন্ম সাল লেখা ১৬ মে ১৯৭৭। অথচ মিজানুরের শিক্ষাগত সব সার্টিফিকেটে তার জন্ম সাল ১৬ মে ১৯৭৪। বয়স তিন বছর কমানোয়, তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে নিরীক্ষা অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে ২০১২ সাল থেকে নেয়া সব বেতন ভাতা ফেরত দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এই নিয়োগের অস্বচ্ছতা নিয়ে ২০১৬ সালেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক। তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেন। পরে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে। তদন্তে আগ্রহ না দেখিয়ে ৫ বছর ফেলে রাখা হয় আবেদনটি।
পরে মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক। ওই রিটের শুনানি নিয়ে তার আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
সান নিউজ/এফএআর