জাবি প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্র নূর হোসেনকে রুমে আটকে পেটালেন স্মৃতিসৌধে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। গুরুতর আহত নূরকে সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনা ঘটে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে। নূর জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্তব্যরত গণপূর্ত বিভাগের ইনচার্জ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আনসার সদস্যের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আনসারের সদস্যরা তাকে মেরেছে। খবর পাওয়ার মাত্রই আমি সেখানে যাই। এরপরই পুলিশের সদস্যরা আসেন। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
মারধরের শিকার নূর বলেন, বিকেলে দুই ভাগনেকে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আনসার সদস্যরা সেখানে অনেক দর্শনার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রবেশ করাচ্ছিল। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমাকে একটি রুমে আটকে নারকীয় কায়দায় মারধর করেছে। সাত থেকে আটজন আনসার সদস্য তলপেট, গলা, ঠোঁটে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে। তারা আমার মাথায়ও আঘাত করে এবং লাঠি দিয়ে পা থেঁতলে দেয়।
জাবির শিক্ষার্থী জহির ফয়সাল বলেন, নূরকে অমানবিক নির্যাতন করেছে আনসার সদস্যরা। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। সে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে। জাবির শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেওয়ার পরও নির্যাতন করে তারা।
তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন হবে বলেও জানান তিনি।
সাননিউজ/এমআর