নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা সংক্রমণ রোধে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তবে আগামী ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বলা হয়েছে, স্বল্প যাত্রী নিয়ে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস, লঞ্চ ও রেল চলাচল করতে পারবে। তবে এর জন্য আগে জাতীয় কমিটির মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানা সম্ভব হবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ পরিবহন মালিকেরাই।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহযোগিতার জন্য ৮ জন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সেই কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী সড়কপথে যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে কিছু নির্দেশনা রয়েছে।
সেই নির্দেশনাগুলো হলো:
১.যাত্রীবাহী পরিবহন স্টেশনের জন্য জরুরি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
২. নিরাপত্তা এবং জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতি মানসম্মত করতে হবে।
৩. সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
৪. মাস্ক, গ্লাভস ও জীবাণুনাশক মজুত থাকতে হবে। প্রতিবার বাস ছেড়ে যাওয়ার আগে সিট এবং বাসের মেঝে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৫.সিট কভারগুলো প্রতিনিয়ত ধোয়া, পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৬.কর্মীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক অবস্থা নথিভুক্ত করতে হবে। যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা দিতে হবে।
৭. সারিবদ্ধভাবে ওঠা এবং নেমে যাওয়ার সময়ে যাত্রীদের পরস্পর থেকে এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।
৮. যাত্রীদের স্বাস্থ্য সচেতন করার জন্য রেডিও, ভিডিও ও পোস্টারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করতে হবে।
৯. বাস স্টেশনে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপার জন্য স্টেশনে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার রাখতে হবে। একটি জরুরি এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। যাদের শরীরের তাপমাত্রা ৩৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকবে তাদের ওই জরুরি এলাকায় অস্থায়ী কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজন মতো চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।
নির্দেশনায় যাত্রীদের অনলাইনে টিকিট কেনারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তবে পরিবহণ মালিকরা বলছেন,এসব নির্দেশনা পালনের সক্ষমতা এখনও পরিবহন সেক্টরের হয়নি। তাছাড়া সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন বাস টার্মিনালগুলোতেও সেই নির্দেশনা কতটা পালন করা সম্ভব হবে তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে তাদের। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও সচেতনতা তৈরি হয়নি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে এখনও সরকারের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়নি। আশা করছি খুব দ্রুত বৈঠক হবে। বৈঠকে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।