গাজীপুর প্রতিনিধি:
কনকনে শীতসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও বিশ্ব ইজতেমা এলাকা লাখো মুসল্লির পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। শিল্পনগরী টঙ্গী এখন যেন ধর্মীয় নগরীতে পরিণত হয়েছে। আজ আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ ঢল অব্যাহত থাকবে। মূল প্যান্ডেলে স্থান না পেয়ে হাজার হাজার মুসল্লি নিজ উদ্যোগেই প্যান্ডেলের বাইরের রাস্তায় পলিথিন সিট ও কাপড়ের সামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।
আখেরি মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে রহমত ও হেদায়েত প্রার্থনার জন্য অধীর হয়ে আছেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।বেলা ১১ টার পর আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হচ্ছে ইজতেমার প্রথম পর্ব। তিন দিনব্যাপী আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের তৃতীয় দিন রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল থেকে হেদায়েতি বয়ান শুরু হয়েছে। এই পর্বে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা যোবায়ের আহমেদ।
এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে আগামী শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আবার শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। শেষ হবে ১৯ জানুয়ারি (১৯)। দ্বিতীয়পর্বের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা সা’দ কান্দলভি।
প্রথম পর্বের শেষ দিন ফজর নামাজের পর থেকে লাখো মুসল্লির কণ্ঠে ‘আমিন’, ‘আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠছে তুরাগ নদের তীর।
সান/ এমএপি
এই প্রসঙ্গে ইজতেমার প্রথম পর্বের গণমাধ্যমবিষয়ক সমন্বয়কারী মুফতী জহির ইবনে মুসলিম বলেন, ‘ফজর নামজের পর থেকে হেদায়েতি বয়ান করেছেন মাওলানা জিয়াউল হক। আখেরি মোনাজাতের আগে বিশেষ বয়ান করবেন মাওলানা ইবরাহীম দেওলা। হেদায়েতি বয়ান শেষে কাকরাইল মসজিদের হাফেজ মাওলানা জোবায়ের প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বয়ানে মাওলানারা তাবলিগের ৬ উসুল নিয়ে আলোচনা করেন। তাবলিগের ৬ উসুল হচ্ছে—কালেমা, নামাজ, ইলম ও জিকির, ইকরামুল মুসলিমিন, সহি নিয়ত ও দাওয়াতে তাবলীগ।’
মুফতী জহির ইবনে মুসলিম আরও বলেন, ‘সকাল ১০টা থেকে ১১টা অথবা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে বিশ্ব মুসলিমের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করা হবে।’
এদিকে, ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাত ১২টা থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় রবিবার ভোর থেকে মুসল্লিরা ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে হেঁটে রওনা হয়েছেন।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে নিরাপত্তা সম্পর্কে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আখেরি মোনাজাতের পর মুসল্লিদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা অব্যাহত থাকবে।’ এছাড়া, সাদা পোশাকে মুসল্লিদের বেশেও নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে জানান তিনি।