নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে বিআরটিএর প্রকল্প পরিচালক।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কটি ৪ লেনে রয়েছে। এটিকে ১০ লেনে করতে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। তবে ১০ লেনের কাজ কবে শুরু হবে তা জানা যায়নি।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কোরিয়ান কোম্পানি। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান কেরিয়া ওভারসিজ অ্যান্ড ডেভলেপমেন্ট করপোরেশেন এ সড়কের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করবে। এটা চার লেনের রাস্তা ছিল। এ রাস্তাকে আরও প্রশস্ত করার পাশাপাশি আরও কিছু কাজ করা হবে। সরকার ও কোরিয়ান কোম্পানি যৌথভাবে এ কাজটি করবে।
তখন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এমপি বলেছিলেন, কাজটির জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। এ টাকা পুরোটাই কোরিয়ান কোম্পানি দেবে। সরকারকে এ ক্ষেত্রে টাকা দিতে হবে না। কারণ এখন যে চার লেন রাস্তা রয়েছে, সেটি সরকার নিজে করেছে। এ কাজের জন্য যে পুনর্বাসন করতে হবে, তার জন্য ২৮০ কোটি টাকা আর ইউটিলিটি স্থানান্তরের জন্য ১০০ কোটি টাকা সরকার বহন করবে। বাকি তিন হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা কোরিয়ান কোম্পানিটি বহন করবে।
বর্তমানে ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রুটে ৮৭ দশমিক ১৮ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত অবস্থায় আছে। প্রকল্পটির আওতায় এই সড়ককে ১০ লেনের আন্তর্জাতিক মানের এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করা হবে। এখনকার চার লেনের পাশাপাশি ১০ ফুট প্রশস্ত করে দুই পাশে ব্যারিয়ার দিয়ে ইমার্জেন্সি লেন নির্মাণ করা হবে, যা দিয়ে শুধু অ্যাম্বুলেন্স, নিরাপত্তা গাড়ি, ভিআইপিসহ যেকোনো জরুরি কাজে নিয়োজিত গাড়ি চলাচল করবে। এরপর আরও ১৮ থেকে ২৪ ফুট করে স্বল্প গতির যান চলাচলের জন্য আলাদা দু’টি করে লেন করা হবে দুই পাশে। সব মিলিয়ে একপাশে পাঁচটি সড়ক লেনসহ দু’পাশে ১০ লেনের সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। দু’পাশের অন্য সড়ক থেকে এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে উঠতে ও বের হতে প্রতি ২-৩ কিলোমিটার পর পর আন্ডারপাস ইউটার্ন নির্মিত হবে।
সান নিউজ/এফএআর