নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে টানা ৬৮ দিনের ছুটি চলছে। এমন অবস্থায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কর্মহীন হয়ে সমস্যায় পড়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এমন অবস্থায় সরকারি ছুটির মেয়াদ আরও বাড়বে কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কেননা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সর্বশেষ ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদ আগামী ৩০ মে শেষ হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, সাধারণ সরকারি ছুটি বাড়বে কি না এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানা যাবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ( ২৮ মে)। এখন প্রতিদিনই করোনা রোগী বাড়ছে, সে বিষয়টা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতকে অনিশ্চিত করবো না। ঝড় একটার পর একটা আসবে, বিভিন্ন দুর্যোগ আমাদেরই মোকাবেলা করে এগোতে হবে। ক্ষুধায় যাতে কেউ কষ্ট না পায়, সবাই যেন খাদ্য সংস্থান করে খেতে পারে, সেটাও দেখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী কাজ করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা মাথায় রেখে হয়তো তিনি ছুটির বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন। এখন ছুটির নির্দেশনা আসবে কিনা জানি না, তবে ২৮ তারিখে সব জানা যাবে।’
গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান টিপু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'আগামী ৩০ মে থেকে দেশের সব বিপণিবিতান ও মার্কেট খুলছে।'
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, 'মহানগর দোকান মালিক সমিতির গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহানগরের সব বাণিজ্য বিতান ও শপিং মল ইদের দিন থেকে ২৯ মে শুক্রবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ফলে আগামী ৩০ মে শনিবার থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিধি-নিষেধ মেনে যথা নিয়মে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে। '
অন্যদিকে, ঈদের ছুটির পর কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে অনেক প্রতিষ্ঠানও খোলার সিদ্ধান্ত তাদের কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছে।