নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কমাতে টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এতে করে জেলাটির গাবুরা ইউনিয়নের ৩ হাজার ৪৪১ হেক্টর এলাকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতির প্রভাব কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নং ১৫ পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পটি মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্পটির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা। একনেকে অনুমোদনের পর চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুনে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে।
প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- ৬০০ মিটার বাঁধ পুনর্বাসন, ২১.০৮১ কিলোমিটার বাঁধ পুনর্বাসনসহ বাঁধের ঢাল সংরক্ষণ, ৭.৮১৯ কিলোমিটার বাঁধ পুনর্বাসনসহ নদীর তীর প্রতিরক্ষা, ৫টি রেগুলেটর প্রতিস্থাপন, ১১টি ইনলেট নির্মাণ, ৮টি নিষ্কাশন খাল পুনঃখনন (মোট দৈর্ঘ্য ২২.৫০ কিলোমিটার), ৮১.১২ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ ও বনায়ন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের (জিইডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পানি সম্পদ সেক্টরের নদী তীর সংরক্ষণ, নদী ও খাল খনন, পুনঃখননের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নদী ভাঙন রোধ করে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা অন্যতম উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। প্রকল্পটির সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সংগতিপূর্ণ।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার ৪৪১ হেক্টর এলাকার ঘরবাড়ি, হাট-বাজার, নদী তীরবর্তী কৃষি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে রক্ষাসহ লোনা পানি প্রবেশ রোধ করা সম্ভব হবে। অত্র এলাকার জানমাল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, তাই একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।
সান নিউজ/এফএআর