নিজস্ব প্রতিবেদক: ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে করা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেছে আদালত।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই তারিখ ঠিক করেছেন।
মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ ১১ জন আসামি রয়েছেন। নতুন ধার্য তারিখে রাষ্ট্রপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন।
ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন সোমবার আদালতে নিজেদের আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য জমা দেন। এরপর বিচারক রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। এর আগে ২৯ আগস্ট একই আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে সাত আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
এ সাত আসামি হলেন- ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা। এরপর তারা লিখিত বক্তব্য দেবেন বলে আদালতকে জানান। আদালত তাদের লিখিত বক্তব্য দাখিলের জন্য ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন।
গত ২৪ আগস্ট আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ মামলায় অভিযোগপত্রের অন্তর্ভুক্ত ২১ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনই আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঋণ জালিয়াতি ও চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ও কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
সাননিউজ/জেআই