নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বোট ক্লাব এবং এর সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশ প্রধানের সম্পৃক্ততা নিয়ে বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেন। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমি তো বাংলাদেশের আইজিপি, পার্লামেন্টের সদস্য নই। পার্লামেন্ট নিয়ে আমার কি কোনও কথা বলা ঠিক হবে?
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকরা এমপি হারুনের বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, পার্লামেন্টে যেগুলো আলোচনা হয়, সেগুলো পার্লামেন্টেই থাকে। আপনার ব্যক্তিগত কৌতূহল থাকলে তা ভিন্ন কথা। কিন্তু পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার পাল্টা উত্তর আইজিপি দেবে না। আমি বাংলাদেশের আইজিপি, পার্লামেন্টের সদস্য নই। এ কারণে এটা শোভন নয়, যৌক্তিক নয়, আইনসম্মত নয়।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে এমপি হারুনুর রশীদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তা জানতে চান, আলোচিত বোট ক্লাব সরকারের অনুমোদন নিয়ে হয়েছে কি না এবং আইজিপি সরকারের অনুমতি নিয়ে বোট ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন কি না। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন এমপি হারুন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্যে আইজিপি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক ও উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ প্রশিক্ষণ মাইলফলক হিসেবে সংযোজিত হবে।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, পুলিশের প্রত্যেক সদস্যের বছরে একবার প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশের কনস্টেবল হতে অতিরিক্ত আইজি পর্যন্ত প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের জন্য বছরে ন্যূনতম একবার প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশের সকল প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত কোর্সের বাইরে এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকল প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে একযোগে আজ এ প্রশিক্ষণ শুরু হল। এ বছর আমরা ৬০ হাজার পুলিশ সদস্যের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আগামী বছর ২ লাখ ১২ হাজার পুলিশ সদস্যদের প্রত্যেকের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।
তিনি বলেন, প্রত্যেক পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের জন্য আলাদা আলাদা প্রশিক্ষণ কোর্স, মডিউল এবং প্রশিক্ষক থাকবেন। কনস্টেবল থেকে এডিশনাল আইজি পর্যন্ত সকল পুলিশ সদস্য এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) মো. মাজহারুল ইসলাম। অতিরিক্ত আইজিরা, ঢাকার পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানরা এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সকল পুলিশ ইউনিটের প্রধানরা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
সাননিউজ/এমআর