নিজস্ব প্রতবেদক: রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে রোগীদের সাথে প্রতারণা করার সময় হাসপাতালের কর্মচারীসহ ৭ নারী ও সাতজন পুরুষ দালালকে আটক করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। আটকের পর তাদেরকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে ৩ জনই ওই হাসপাতালের কর্মচারী।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.মাজহারুল ইসলাম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতকে সহায়তা করেন র্যাব-১০-এর সদস্যরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট চলাকালীন অবস্থায় এসব দালালকে আটক করা হয়েছে। আটক দালালরা দীর্ঘদিন ধরে সহজ সরল রোগীদের উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দিয়ে হাসপাতাল থেকে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাত ও হয়রানি করছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ৬ নারী দালালকে ৫ হাজার টাকা ও এক দালালকে তিন হাজার ১০০ টাকা জরিমানা ও ৭ পুরুষ দালালের প্রতিজনকে ১৫দিন করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আটককৃতরা হলেন- সুভাস চন্দ্র (৬০), আদি কর্মকার (৩৯), শহিদ (৪৫), মো, সোহেল (২৫), পাপুল লাল (৩৫), ফারুক (৫৩) ও বদিউজ্জামান (৩১)। এদের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া রাশিদা বেগম (৫০), বেগম (৫০), রেহানা আক্তার (৬২), হাজেরা বেগম(৭৭), মুক্তা বেগম (২৯) ও বিবি হাওয়া (৫৮)।
এদের মধ্যে ফারুক ও বিবি হওয়া হাসপাতালটির সরকারী কর্মচারী ও শহিদ আউটসোর্সিং কর্মচারী হিসেবে চাকরি করে আসছিলেন।
সাননিউজ/জেআই