নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। আর হাতে পর্যাপ্ত টিকা পাওয়া সাপেক্ষে দেশে পুনরায় গণটিকাদান কর্মসূচির বিষয়ে চিন্তা করা হবে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নার্সি ও মিডওয়াইফারি কোর্সে কম্প্রিহেন্সিভ (লাইসেন্সিং/প্রি-রেজিস্ট্রেশন) পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
দেশে প্রথম দফায় ‘গণটিকা কর্মসূচি’-তে যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, টিকাকেন্দ্র থেকে এসএমএস পাওয়া মাত্রই তারা দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে যাবেন।
সাড়ে ১৬ কোটি টিকা কেনার নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এরমধ্যে চীন থেকে নতুন করে ৬ কোটি ডোজ টিকার মধ্যে থেকে প্রতিমাসে ২ কোটি ডোজ করে আগামী তিনমাসে এই টিকা দেশে পৌঁছাবে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আরও ১০ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা কেনা হবে। সেইসাথে ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় টিকাও আসবে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এ সময় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া হবে- আগামীকাল রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ খোলার পর কীভাবে নিরাপদে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নেওয়া হবে- এই বিষয়েও আগামীকাল আন্তঃমন্ত্রণালের বৈঠক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়েও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের কোন টিকার দেওয়া হবে- এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স তাদের যে কোনও টিকা দেওয়া যাবে। তবে এর নিচে যাদের বয়স তাদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী ফাইজার বা মর্ডানার টিকা দেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও জানান, মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের ৮০ শতাংশের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রায় সব শিক্ষকদেরও টিকা দেওয়া শেষ। সে কারণে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে মেডিক্যাল কলেজ খুলতে সমস্যা হবে না।
সাননিউজ/জেআই