নিজস্ব প্রতিবেদক: যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এতে আরও ৪ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত নতুন ৪ জেলা হলো- নিলফামারী, মুন্সিগঞ্জ, লালমনিরহাট ও গাজীপুর। এ নিয়ে মোট ১৫ জেলার নদী-সংলগ্ন বিভিন্ন উপজেলার অধিকাংশ নিম্নিাঞ্চল বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। অসময়ের বন্যায় রোপা ও আমন চাষিরা বিপদে পড়েছেন।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ বুলেটিন থেকে এ কথা জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেস্বর) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা বেসিনের প্রধান নদী যমুনার পানি-সমতলে বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে গঙ্গা-পদ্মা বেসিনের অন্যতম প্রধান নদী পদ্মার-পানি সমতলে বাড়ছে।
দেশের প্রধান দুই নদীর পানি বৃদ্ধির এই প্রবণতা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি গত ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পাসি স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনার কথাও বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মেঘনা অববাহিকায় প্রবাহিত নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় পানি কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে অসময়ে সৃষ্ট বন্যায় যে ১৫ জেলার নিম্নিাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রযেছে- কুড়িগ্রাম, বগুড়া, লালমনিরহাট, নিলফামারী, জামালপুর, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, পাবনা, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গাজীপুর ও শরীয়তপুর।
সাননিউজ/এমআর