নিজস্ব প্রতিবেদক:
একশ্রেণির শিক্ষক রয়েছেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। অনেক সময় সান্ধ্যকালীন কোর্স ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়ে সপ্তাহব্যাপী ব্যস্ত সময় কাটান। এ সব কাজকর্মে তারা খুবই আন্তরিক বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম সমাবর্তনে একথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ভিসিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আপনাদের সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। আপনারা নিজেরাই যদি অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন বা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা কী হবে, তা ভেবে দেখবেন”।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকে নকলের বিভিন্ন কথাবার্তা শোনা যায়। আমার লজ্জা হয়, যখন শুনি শিক্ষকরা নকল সাপ্লাই করেন। অনেক জায়গায় শোনা যায় ছাত্রদের মা-বাবা পর্যন্ত নকল সাপ্লাই করেন। এর চেয়ে কলঙ্কজনক, দুঃখজনক, হতাশাজনক আর কিছু হতে পারে বলে আমি মনে করি না। আসলে তাদের কী করে শায়েস্তা করা যায়, এটা আমি ভাষায় বলতে পারছি না, তাদের কি বলবো। মনডা চায়.. আর কইলাম না, বুইঝা নিতে হবে। নকলের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.কামাল উদ্দিন আহমেদ । এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিভিসি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও সমাবর্তন বক্তা হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ইমেরিটাস ড. অরুণ কুমার বসাক সমাবর্তন বক্তব্য দেন।
সমাবর্তনে স্নাতক ১১ হাজার ৮৭৭ জন, স্নাতকোত্তর ৪ হাজার ৮২৯ জন, এমফিল ১১ জন, পিএইচডি ছয়জন, ইভিনিংয়ের ১ হাজার ৫৯৪ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্স ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়ে শিক্ষকদের ব্যস্ত থাকার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন রাষ্ট্রপতি।