সান নিউজ ডেস্কঃ
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। আর সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয় না কারাগারে থাকা আসামীরাও। প্রতিবারই কারাগারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবার করোনার প্রভাবে কারাগারেও কোন ঈদের জামাত হবে না বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। তবে বন্দিরা চাইলে নিজ নিজ সেলে নিজেরা ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন। স্বজনদের দেওয়া খাবার সরবরাহ ও সাক্ষাৎ বন্ধ থাকবে।
কারা অধিদফতর থেকে আরও বলা হয় যে, কারাগারের বাইরে কারা মসজিদগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারারক্ষী ও স্টাফরা ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে একঘণ্টা ব্যবধানে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হতে পারে। কোলাকুলি ও হ্যান্ডশেক না করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৪ মে) কারা অধিদফতরের মুখপাত্র ও এআইজি প্রিজনস মুহাম্মদ মনজুর হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবারের মত এবার কারাগারের ভেতরে খোলা জায়গায় বন্দিদের জন্য ঈদের জামাত হবে না। তবে বাইরের কারা মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা মেনে। বন্দিরা নিজেদের সেলের মধ্যেই নিজেরা ঈদের নামাজ পড়ে নেবে।’
তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে এবার কারারক্ষী ও স্টাফদের ঈদ শপিংয়ে না যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মনজুর হোসেন আরো বলেন, ‘করোনার কারণে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের দেখা-সাক্ষাৎ আগে থেকেই বন্ধ আছে। ঈদ উপলক্ষে এমনিতেই দেখা-সাক্ষাতের চাপ বেড়ে যায়। সে কারণে এবার ঈদ উপলক্ষে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে দেশের সব কারাগারে এই বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রতিবছর স্বজনদের কাছ থেকে বন্দিদের জন্য যে খাবার পাঠানো হয়, সেটা দেওয়া বন্ধ থাকবে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয়টি চিন্তা করে। ঈদের দিন কারাগারের পক্ষ থেকে উন্নত খাবার দেওয়া হয়। সেজন্য ওইদিন স্বজনদের পক্ষ থেকে খাবার না দিলেও চলবে।’
তিনি বলেন, ‘এবার ঈদের পরের দিনও বন্দিদের ভালো ও উন্নত মানের খাবার সরবরাহ করা হবে। আর যারা কারাগারের বাইরে হাসপাতালগুলোর প্রিজন সেলে আছেন, তাদের খাবার সরবরাহ করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
তিনি জানান, সকালে মুড়ির সঙ্গে পায়েস অথবা সেমাই দেওয়া হবে। ছোট কারাগার হলে দুপুরে পোলাও, গরু ও খাসির মাংস দেওয়া হয়। বড় কারাগার হলে এই খাবার বিকালে দেওয়া হয়। আর রাতের খাবার হিসেবে সাদা ভাতের সঙ্গে আলুর দম ও মাছ দেওয়া হবে।
সান নিউজ/ বি.এম.