নিউজ ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের প্রভাবে চলমান অর্থনৈতিক বিপর্যয় সামাল দিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। বিধ্বস্তের হাত থেকে অর্থনীতিকে বাঁচাতে যথাযথ নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজ দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ অবস্থায় গভর্নরের মতো নীতিনির্ধারণী ও গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন আনার ঝুঁকি নিতে চাইছে না সরকার।।
এর আগে এক বার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরের। বর্তমান আইন অনুযায়ী তার মেয়াদ বৃদ্ধির আর কোনও সুযোগ না থাকলেও সরকার তাকে আরেক দফায় গভর্নর পদে রাখতে চাইছে। এ কারণে সংশোধন করা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, যা দেশের ইতিহাসে প্রথম ঘটনা। তিনি আরও দুই বছরের এই পদে বহাল থাকতে পারেন বলে সূত্র মারফত জানা গেছে।
এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের চাকরির ৬৭ বছরের বয়সসীমাকে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।প্রচলিত আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৫ বছর। তবে এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে প্রতিবেশী দেশগুলো এবং বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর গভর্নর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা না থাকার বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া বাংলাদেশে গভর্নর পদে নিয়োজিত ব্যক্তির বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও প্রতিবেশী কোনও দেশে এমনটি নেই। এমনকি বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোতেও গভর্নর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে চলমান আইনে বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩ জুলাই।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বয়সের সীমারেখা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করে এবং অনুমোদন পায়।
সান নিউজ/ বি.এম.