জাতীয়

আইভিকে খালেদা জিয়া দেখে আসার পরই মৃত ঘোষণা করা হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সিএমএইচে গিয়ে দেখে আসার পরপরই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিলো।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমান। তিন দিনের মাথায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিলো তাঁর। আইভি রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৪ আগস্ট।

সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত নেত্রী আইভি রহমানকে স্মরণ করে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকের দিনে আমার আইভি চাচির কথাই বেশি মনে হচ্ছে। আর একটা অবাক কাণ্ড আপনারা হয়তো জানেন না, তাঁকে যখন সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয় আমরা ঠিক জানি না কখন কোন মুহূর্তে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর ছেলেমেয়েরা তাঁর কাছে ছিলো। সে সময় তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাঁকে দেখতে যাবেন বলে তাঁর ছেলেমেয়েরা যারা বেডের কাছে ছিলো, তাদের একটা কামরার মধ্যে নিয়ে তালা মেরে রাখে। প্রায় তিন–চার ঘণ্টা নাজমুল হাসান পাপন, বোন তানিয়া, ময়না—এদের সবাইকে একটা রুমে তালা দিয়ে রেখে তার পর খালেদা জিয়া যান আইভি রহমানকে দেখতে। আর খালেদা জিয়া যখন দেখে ফিরে আসেন, এর পরই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ কথাটা অনেকেরই জানা নেই, আমি এটা জানিয়ে রাখলাম যে কত বড় নৃশংসতা এরা করতে পারে।

গ্রেনেড হামলার ওই ভয়াবহ ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, শুধু হত্যার চেষ্টাই না, হত্যার পর লাশ নিয়েও তারা যে কর্মকাণ্ড করেছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। মারা যাওয়ার পর অনেকের লাশ তারা দিতে চায়নি। লাশ আত্মীয়স্বজনের কাছে তারা দেয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজে দলের সমর্থক এবং যাঁরা জীবিত, তাঁরা যেহেতু সাহায্য করতে যান এবং সারা রাত তাঁদের চেষ্টার পর একে একে সেই লাশগুলো হস্তান্তর করে। তারা লাশটা পর্যন্ত দিতে চায়নি। পারলে লাশটা গুম করে ফেলত এই ছিলো অবস্থা।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে এক ডজনের বেশি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। এ হামলায় শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও তাঁর শ্রবণেন্দ্রীয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত এবং অন্তত ৫০০ নেতা-কর্মী, পথচারী ও সাংবাদিক আহত হন।

সান নিউজ/এফএআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বৈষম‌বিরোধী আন্দোলনে বেঁচে ফেরার আশা করেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন আন্দোল&zwnj...

সবজির বাজারে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, সবজি...

বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন পূজা 

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চিত্রনায়িকা ও মডেল পূজা চেরি ডজনখানেক ছব...

ঢাকায় বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি দল

নিজস্ব প্রতিবেদক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাই...

স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা, নারী আটক

জেলা প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় জীবিত স্বামীকে বৈষম্যবিরোধ...

শেখ হাসিনাসহ ৬১ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে আদালতের নির্দেশে সাবেক প্রধা...

গুমের সঙ্গে জড়িতরা পার পাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বের কোথাও গুমের সঙ্গ জড়িতরা পার পায়নি...

বাংলাদেশিদের পাঁচ দেশ ভ্রমণে সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বের ৫ দেশে যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন...

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক : দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ও...

কলম্বিয়ায় গেরিলা হামলায় নিহত ৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কলম্বিয়ার আনোরিতে ন্যাশনাল লিবারেশন আর্ম...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা