নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে কাদিয়ানি সম্প্রদায়। তারা দেশের শীর্ষ আলেম-ওলামাদের থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের চিঠির মাধ্যমে কাদিয়ানি হতে আহ্বান জানাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি। আল্লামা নুরুল ইসলাম হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশেরও মহাসচিব।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা মূলত দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। কাদিয়ানিদের এসব ষড়যন্ত্র দ্রুত থামাতে হবে। তারা এসব অপকর্মের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করে দেশের মধ্যে একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।
কাদিয়ানি সম্প্রদায় দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তা হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন থেকে কঠিনতর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ দেশের মুসলমানরা কোনোভাবেই খতমে নবুওয়াতকে অস্বীকারকারীদের অপতৎপরতা মেনে নেবে না।
খতমে নবুওয়াতের ইস্যু কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক ইস্যু নয় উল্লেখ করে হেফাজত মহাসচিব আরও বলেন, কাদিয়ানি সম্প্রদায় সুকৌশলে খতমে নবুওয়াতের আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। তারা খতমে নবুওয়াতের মতো নির্ভেজাল একটা ইমানী আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলন বলে অপপ্রচার চালায়। এ থেকেও সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে এ দেশে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। খতমে নবুওয়াতের ইস্যু কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক ইস্যু নয়। এটির সম্পর্ক সরাসরি ইমানের সঙ্গে। খতমে নবুওয়াতকে যে অস্বীকার করবে, সে মুসলিম থাকতে পারে না। কোনো মুসলিমের পক্ষে খতমে নবুওয়াতের বিরোধিতা করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সান নিউজ/এমকেএইচ