সান নিউজ ডেস্ক:
পবিত্র জুমাতুল বিদা আজ। রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে জুমাতুল বিদা বলা হয়। মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
এই দিনে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য ব্যাকুল থাকেন মুমিন-মুসলমানরা। দয়াময় রবের দরবারে হাজিরা দিয়ে বিগলিত চিত্তে মাগফিরাত কামনা করেন।
ইসলামের সূচনাকালে মদিনায় যখন রমজানে রোজার বিধান নাজিল হয়, তখন থেকেই প্রতি বছর রমজানের শেষ জুমাকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে আদায় করে আসছে মুসলিম উম্মাহ।
তবে এবার করেনা মহামারির কারণে স্বল্প পরিসরে জুমার নামাজে অংশ নেবেন মুসল্লিরা। যারা মসজিদে জুমার জামাতে যাবেন তারা অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানবেন।
পাশাপাশি এই একই দিন বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস। আল কুদস বা বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়তম স্থানগুলোর একটি, যেখানে রয়েছে মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদুল আকসা। বায়তুল মুকাদ্দাস বা জেরুজালেম শুধু মুসলমান নয়, বিশ্বের ইহুদি ও খ্রিস্টানদের কাছেও প্রিয় ও পবিত্র স্থান। নবী মুহম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র মেরাজ গমনকালে মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় করেন। তিনি ছিলেন নামাজে অংশগ্রহণকারী সব নবী-রাসুলের ইমাম।
এ ছাড়া বনি ইসরাইলের নবী-রাসুলরা যেমন হজরত মুসা, দাউদ, সুলায়মান এবং ঈসা (আ) এর দ্বীন প্রচারের কেন্দ্র ছিল এই ফিলিস্তিন ভূমি। হজরত ইবরাহিম (আ) এর মাজার এখনো ফিলিস্তিনের আল-খলিল শহরে রয়েছে। হাজারো নবী-রাসুলের স্মৃতিচিহ্ন বুকে নিয়ে অবস্থান করছে ফিলিস্তিনের ভূখে আল কুদস, মসজিদুল আকসা এবং আশপাশের এলাকাগুলো। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, আল কুদসের গুরুত্ব ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে কত বেশি।
বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী ও উপনিবেশবাদী চক্র সাম্প্রদায়িক ইহুদি জায়নিস্টদের ইন্ধন জুগিয়ে ফিলিস্তিনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা একের পর এক গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে এবং মুসলমানদের বর্বরোচিতভাবে শহর ও গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করছে। ফিলিস্তিন জবরদখলদার সাম্প্রদায়িক ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা সংগ্রাম ও যুদ্ধ করে চলেছে। প্রতিবাদ করে আসছে বিশ্ববাসী।
ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ী হওয়ার পর ইমাম খোমেনি ফিলিস্তিন ইস্যুকে ইসলামিকরণ করেন এবং পবিত্র জুমাতুল বিদায় আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস পালনের আহ্বান জানান। আজ বিশ্বের নানা দেশে দিবসটি পালিত হবে।
সান নিউজ/ আরএইচ