নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর উদ্ধার করতে আমাদের নেতাকর্মীদের বাধা দেয়া হয়। টিয়ার গ্যাস মারা হয়। আর টিয়ার মেরে হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করা হয়। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এমন হামলা সম্ভব না।
শনিবার (২১ আগস্ট) ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৭ তম বার্ষিকীতে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, আহতরা হাসপাতালে গিয়ে পর্যন্ত চিকিৎসা পায়নি। সেদিন হাসপাতালে আহতদের ঢুকতে দেয়নি। সেখান থেকে ডাক্তারদের আগেই সরিয়ে দেয়া হয়। তবে অন্য বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা ভাল চিকিৎসা করেছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা রক্ত দিতে এগিয়ে এসেছিল। তারা রক্ত দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও জনগণের দোয়ায় আমি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই। আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে আমাকে রক্ষা করেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামাত জোট যখনই ক্ষমতায় একের পর এক বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা চালিয়ে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, এই ঘটনায় বিএনপি সরকার আলামত নষ্ট করে ফেলে। ভুয়া তদন্ত প্রতিবেদন দেয় এবং জজ মিয়া নাটক সাজায়। তাদেরকে তখন সংসদেও কথা বলতে দেয়নি বিএনপি-জামায়াত। উল্টো এই ঘটনার দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্টের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ওই দিনই চারজনকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া ও তারেকের তত্ত্বাবধায়নে তাদের পাঠানো হয়। ওই ঘটনায় তখনকার পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাই জড়িত ছিল।
বঙ্গবন্ধু কন্যা আরও বলেন, বাবার পথ ধরেই এ দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি। কয়েকবার মুত্যুর সামনে এসে দাঁড়িয়েছি, আল্লাহ বাঁচিয়েছেন। এত বাধা অতিক্রম করে এসেছি। এখন এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমার কাজ।
সান নিউজ/এমকেএইচ