নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বিকাল সোয়া ৪টার সময় তিনি রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এই টিকা নেন। এর আগে টিকা নিতে তিনি বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে বের হোন। বিকালে সেখানে পৌঁছালে তাকে গাড়িতেই টিকা দেয়া হয়।
বুধবার (১৮ আগস্ট) বিএনপির একটি সূত্র এ তথ্য জানান।
এদিকে খালেদা জিয়ার টিকা নেয়া খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপুর থেকেই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ভিড় করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িটি প্রবেশ নেতাকর্মীরা তা ঘিরে রাখেন। এ কারণে গতবারের মতো আজও খালেদা জিয়াকে গাড়িতে রেখেই শরীরে টিকা পুশ করা হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানে বাসভবন ফিরোজা থেকে টিকা নেয়া উদ্দেশে রওয়ানা হয় খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িটি।
খালেদা জিয়ার টিকা নেয়ার সময় তার সঙ্গে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
এর আগে ১৯ জুন শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালেই মডার্নার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সেদিন বিকেল চারটায় খালেদা জিয়াকে টিকা দেয়া হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
গত ৮ জুলাই খালেদা জিয়া টিকার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। ১৮ জুলাই রোববার টিকার জন্য তিনি এসএমএস পান।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। সেখানে ৫৪ দিন চিকিৎসা শেষে গত ১৯ জুন রাতে গুলশানের বাসভবনে ফেরেন খালেদা জিয়া।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর প্রথমে পুরান ঢাকার বিশেষ কারাগার ও পরে কারাবন্দি অবস্থায় বিএসএমইউর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এরপর দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে তার ছয় মাসের সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর আরও দুইবার তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ান সরকার।
সান নিউজ/এফএআর