সান নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল এখন তালেবানের হাতে। শহরটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে যেকোন সময় যেকোন খারাপ ঘটনার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দূতাবাস কাবুলে ৯ বাংলাদেশি থাকার তথ্য পেয়েছে। এদের মধ্যে ব্র্যাকের কর্মী ৬ জন। বাকি ৩ জন কাবুলের কারাগারে রয়েছেন।
দেশটিতে বাংলাদেশের কোন দূতাবাস নেই। তবে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম একসঙ্গে কিরগিজস্তান, আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তানে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি রোববার (১৫ আগস্ট) রাতে জানান, ব্র্যাকের ছয় কর্মী সংস্থার আবাসিক পরিচালকের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। যে কারাগারে তিনজন বাংলাদেশি ছিলেন, তালেবান যোদ্ধারা তা ভেঙে সেখানে ঢুকে পড়েছে। বন্দি এক বাংলাদেশি ছাড়া পেয়ে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
ব্র্যাকের কর্মীদের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, যারা আছেন তাদের সিনিয়র ঢাকা জেলার করিম শিকদার, তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা ১৮ তারিখের ফ্লাইটে দেশে ফিরতে চেষ্টা করছেন।
বাকি পাঁচজন হলেন- ঢাকার মোহাম্মদ সরফরাজ, রংপুরের আসাদুজ্জামান, ফরিদপুর রফিকুল হক মৃধা, যশোরের কামাল হোসেন ও নোয়াখালীর ইউসুফ হোসেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কাবুলে পুল এ চরকি নামে একটি বড় জেলখানা আছে, সেখানে তিনজন বাংলাদেশি ছিলেন। একজন মঈন আল মেসবাহ, খুলনা জেলার। তালেবান ভেঙে প্রবেশ করার ফলে কয়েদিরা সব পালিয়ে গেছেন। তার মধ্যে আমাদের মঈন আল মেসবাহও আছেন। অন্য দুজন বন্দি হলেন- ঢাকার ভাসানটেকের কাউছার সুলতানা ও নোয়াখালীর ওবায়দুল্লাহ। এরা ভেতর থেকে বের হতে পেরেছে কি না, আমরা শিওর হতে পারিনি। এটা জানার চেষ্টা চালাচ্ছি।
কাবুলের বাইরে অন্য এলাকায় বাংলাদেশি আছে কি না, তা নিশ্চিত নন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, এরইমধ্যে হটলাইন চালু করেছি। সরকারের কাছেও পাঠানো হয়েছে। কোন তথ্য পাওয়া গেলে তাদের মোবাইল নম্বর দুটি যেন দেওয়া হয়। হটলাইন নম্বর দুটি হলো- +৯৯৮-৯৭৪৪০২২০১ এবং +৯৯৮-৯৯৯১১৯১০২।
সাননিউজ/এমআর