নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসায় উপকূলীয় এলাকার ২২ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যাতে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সেখানে বিতরণ করা হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এর কারণে দেশে ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। সেজন্য ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ অবস্থান ও সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মে) বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই উপকূলীয় এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হবে। ঘূর্ণিঝড়টি যেভাবে শক্তিশালী হয়ে এগিয়ে আসছে তাতে এরপর আর কাউকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া কঠিন হবে। এছাড়া পরিস্থিতি দেখে বুধবার (২০ মে) সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত দেয়া হতে পারে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন তাদের সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের কমপক্ষে এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, মেডিকেল টিম ওষুধপত্র নিয়ে প্রস্তুত আছে। লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সহযোগিতা করছেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোও তৎপর রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সুপার সাইক্লোন আম্ফানের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।