নিজস্ব প্রতিবেদক: চালক ছাড়া ব্যক্তি মালিকানায় সিএনজি অটোরিকশার নিবন্ধন না দেওয়াসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিএনজি অটোরিকশা চালক সংগ্রহ পরিষদ।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
তাদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে— চালককে নামমাত্র সরল সুদে সিএনজি অটোরিকশা কেনার জন্য দীর্ঘমেয়াদি ব্যাংক ঋণ দিতে হবে, ঋণের ৫০ শতাংশ টাকা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে; চালক ছাড়া ব্যক্তি মালিকানায় সিএনজি অটোরিকশার নিবন্ধন (ব্লু-বুক) প্রদান চলবে না; ঢাকা মেট্রোতে সিএনজি অটোরিকশার দৈনিক জমা ৫০০ টাকা ও অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা করতে হবে; ইয়েস পার্কিং না দেওয়া পর্যন্ত নো পার্কিং মামলা ও মিটার মামলা দেওয়া যাবে না; বর্তমান সিএনজি মালিকের পক্ষ থেকে চালকদের নিয়োগপত্র দিতে হবে; নতুন লাইসেন্স প্রদান ও পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন সহজ শর্তে ও অল্প অর্থে প্রদান করতে হবে; মহাসড়কে সিএনজি চলাচলের অনুমতি দিতে হবে; সড়কের খানাখন্দ রিপিয়ারিং করে জেব্রা ক্রসিং, স্পিড ব্রেকার ও রোড ডিভাইডার এবং শাখা সড়কে (এপ্রোচ) অ্যারো চিহ্ন দৃশ্যমান রঙে রঙিন করতে হবে এবং দেশের সব সেতুতে ৫০ শতাংশ করতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা চালকরা কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেও অন্ন, বস্ত্র, ছেলেমেয়েদের শিক্ষার খরচ চালানো, মাস শেষে ঘরভাড়াটাও একসঙ্গে দেওয়া দায় হয়ে ওঠে। পরিবার পরিজন অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা পর্যন্ত করতে পারি না। এদিকে রাস্তায় সিএনজি অটোরিকশার মালিক- প্রশাসন ও চাঁদাবাজ দালালদের অত্যাচার তো আছেই। এখন সেসবের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। করোনার আগের মতো অনৈতিকভাবে মাসে দুই বার জমা বৃদ্ধি করছে মালিকরা। এখন আমরা প্রতিদিন এক হাজার ৬০০ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে যাত্রা শুরু করি।
তারা আরও বলেন, প্রায় এক হাজার সিএনজি মালিকের কাছে ঢাকা শহরের প্রায় এক লাখ সিএনজি চালক ও এক কোটি যাত্রী জিম্মি। যাত্রীদের ধারণা সিএনজি চালকরা যাত্রীদের ওপর জুলুম করে। কিন্তু আমরা চালকরা যে কতটা অসহায় সে কথা কখনও কেউ জানেই না, শুনেও না। আমরা চালকরা নিয়োগপত্র না থাকায় বছরে তিন চারবার বেকার হই। সিএনজি অটোরিকশা চালকদের নামে বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে। এরা মূলত মালিকপক্ষের দালালি করে নিজেদের আখের গোছানো ছাড়া আর কিছুই বোঝে না।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের আহ্বায়ক শেখ হানিফ, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, ফোরকান, এ. আর জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
সাননিউজ/ জেআই