নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এরিমধ্যে ব্যাপক শক্তি অর্জন করে ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এরআগে বলা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষরাত থেকে বুধবার বিকাল বা সন্ধ্যার মধ্যে প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সোমবার (১৮ মে) দুপুর ২টায় আবহাওয়া অধিদফতরের অনলাইনে এসে আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান জানান, ‘আম্ফান আরও কিছুটা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি আরও কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করেছে। ঝড়টি বর্তমানে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলো থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে আছে। এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা আছে। '
আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান জানান, 'এটি আরও ঘনীভূত হয়ে দেশের খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলের দিকে আসতে পারে। ১৯ মে শেষ রাত থেকে ২০ তারিখ বিকাল, এই মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ঘনীভূত হওয়ার কারণে এর বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।