নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনায় পাঁচ লাখ কর্মী দেশে ফিরে এসেছেন। তারা বেতন ও অন্যান্য আনুষঙ্গিকসহ গড়ে এক লাখ ৭৯ হাজার ৯৮৯ টাকা করে হারিয়েছেন। এদের মধ্যে পুরুষকর্মীদের গড়ে ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ও নারীকর্মীদের ৯৭ হাজার টাকা করে বেতন গচ্ছা গেছে।
বুধবার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি অব মাইগ্রেশন (বিসিএসএম) এবং রেফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) আয়োজিত অনলাইন অনুষ্ঠানে এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। গবেষণাটির তথ্য তুলে ধরেন বিসিএসএমের চেয়ার ও রামরুর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সি আর আবরার।
মধ্যপ্রাচ্যের ৬টি দেশ থেকে ফিরে আসা এক হাজার ১৬০ জন প্রবাসী কর্মীর সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে গবেষণাটি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ফিরে আসা কর্মীদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ নারী। যারা চাকরিতে ছিলেন, তাদের ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ কর্মীর বেতন আগের চেয়ে কমেছে। আর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর দেশে ফিরে আসার আগে নিয়মিতভাবে বেতন পাননি ৬৭ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবাসীকর্মী। তবে ফেরার আগে ৯২ শতাংশ কর্মী কোথাও কোনও অভিযোগ জানিয়ে আসেননি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৩ শতাংশ কর্মী দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। আবার ২৯ শতাংশ কর্মী দেশে ছুটিতে এসে আর ফিরে যেতে পারেননি। যারা বাধ্য হয়ে ফিরে এসেছেন তার ১৫ দশমিক ৬ শতাংশই কাজ হারিয়ে এসেছেন, ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ এসেছেন কাজ না থাকায়। তবে গবেষণার পর তাদের কেউ কেউ হয়তো কর্মস্থলে ফিরে গেছেন, যা এখানে আসেনি। বেতন হারানো কর্মীদের তালিকার শীর্ষে গন্তব্য দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরপর আছে কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, ওমান এবং বাহরাইন।
অনালাইন এই অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন মাইগ্রেশন ফোরাম এশিয়ার জনা ইউ, বায়রার মহাসচিব শামিম আহমেদ চৌধুরী, বিএমইটি’র সাবেক পরিচালক ড. নুরুল ইসলাম, বিএনএসকে’র নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, ওয়ারবীর চেয়ারম্যান সাইদ সাইফুল হক, অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীরসহ প্রমুখ।
সান নিউজ/এফএআর