নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলা ও সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে সব রকমের প্রস্তুতি সরকার নিয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১৭ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শনিবার (১৬ মে) সব জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ সচিব শাহ কামাল জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোনো দুর্যোগে স্থায়ী কার্যাদেশ (এসওডি) অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে বলে এর গতিপ্রকৃতি বলছে। পরিস্থিতি মোতাবেক সংকেত আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় আম্পান সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৪৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৮০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৭৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ২৫৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে থাইল্যান্ড, ‘আম্পান’ এর অর্থ হচ্ছে আকাশ।