নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মা সেতুর পিলারে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তিনবার ধাক্কা মেরেছে ফেরি। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্তৃপক্ষের জন্য। বিষয়টিকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। সংস্থাটি সেতুর সুরক্ষায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে যানবাহন পারাপারে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাতে ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে বৈঠক করেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা। বৈঠকে নতুন নির্দেশনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত থাকার দিনগুলোতে ফেরিতে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ভারী যানবাহন তোলা যাবে। বাকিটা হালকা যানবাহন তুলতে হবে। এর ফলে ফেরি হালকা হবে।
তিনি জানান, পদ্মা সেতুর পিলারে রাবারের আস্তর লাগানোর চিন্তাভাবনাও চলছে। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে এমনটা ভাবা হচ্ছে।
সেতু বিভাগ বলছে, ফেরি দুর্ঘটনায় বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিষয়টিকে মোটেও হালকাভাবে দেখা যাবে না। এ জন্য সোমবার (৯ আগস্ট) লৌহজং থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তদন্তের আবেদন করা হয়েছে।
গত ২০ জুলাই পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারে ধাক্কা মারে রো রো ফেরি শাহ মখদুম। এতে ওই ফেরির তলা ফুটো হয়ে যায়। ২৩ জুলাই রো রো ফেরি শাহজালাল ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে পিলারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সবশেষ সোমবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ১০ নম্বর পিলারে সজোরে ধাক্কা খায়। সব কটি ঘটনায় পিলারের পানির লাগোয়া অংশে (পাইল ক্যাপ) পলেস্তারা উঠে গর্তের সৃষ্টি করেছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ফেরির ধাক্কায় সেতুর মৌলিক কোন ক্ষতি হয়নি। তবে বারবার ধাক্কা মারার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে ভাবনায় ফেলেছে। এ জন্য সুরক্ষার জন্য বিকল্প নিয়ে ভাবা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হচ্ছে।
সাননিউজ/এমআর