নিজস্ব প্রতিবেদক:
শুরু হল স্বাধীনতার স্থপতি, ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীকে ঘিরে মুজিববর্ষ উদযাপনের ক্ষণগণনার আনুষ্ঠানিক আয়োজন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসেই ১০ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা লোগো উন্মোচনের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মাহেন্দ্র এই ক্ষণটিতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন এবং বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীও।
বেলা চারটার পরপরই অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭২ এর ১০ই জানুয়ারি অপরাহ্নে বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার পর লাখো জনতা সেদিন তাদের প্রিয় নেতাকে যেভাবে তেজগাঁও বিমানবন্দর বুকের ভালবাসায় বরণ করে নিয়েছিলেন সেই মুহুর্ত গুলোই প্রতীকী অর্থে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয় বিভিন্নভাবে। সেই ঐতিহাসিক মুহুর্তটি সামনে রেখেই প্রতীকী বিমান (সি-১৩০জে) অবতরণ করানো হয়। বিমানের দরজায় আলোক প্রক্ষেপনে তুলে ধরা হয় বঙ্গবন্ধুর অবয়ব। তাঁকে রাষ্ট্রীয় সন্মান জানাতে দেয়া হয় ২১ বার তোপধ্বনি। দরজা দিয়ে বঙ্গবন্ধু যেন বেরিয়ে আসছেন, তারপর রাজনীতির এই কবি যেভাবে হেঁটে আসেন জনতার দিকে, সেটিকে তুলে ধরতে বিমানের সিড়ি থেকে লাল গালিচা ধরে লেজার লাইটের মাধ্যমে প্রক্ষেপন করা হয় সবুজ আলো। বঙ্গবন্ধু যে আলোকবর্তিকা হয়ে সেদিন দেশে ফিরেছিলেন, তারই প্রতীকী উপস্থাপনাতুলে ধরা হয় এখানে।
এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শেষে উন্মোচন করেন মুজিববর্ষের ক্ষণগণণার লোগো।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ও নিবন্ধিতদের জন্য দুপুরের পর থেকেই উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় অনুষ্ঠানস্থলের নির্ধারিত প্রবেশ পথগুলো। সবাইকে নিরাপত্তা তল্লাশির মধ্য দিয়ে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
দেশের ১২ সিটি করপোরেশনে ২৮টি স্পটে, ৫৩ জেলায় ও দুটি উপজেলা মিলিয়ে মোট ৮৩টি জায়গায় ইতোমধ্যে কাউন্টডাউন ক্লক বসানো হয়েছে। এই ক্ষণ গণনা শেষে আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সূচনা হবে মুজিববর্ষের বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের; বছরজুড়ে চলবে সেই আয়োজন। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও থাকবে নানা আয়োজন।