নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমণ রোধে দীর্ঘদিনের কঠোর বিধিনিষেধের পর বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে প্রায় সবকিছুই খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সড়ক পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার সুযোগ থাকলেও প্রতিদিন মোট পরিবহনসংখ্যার অর্ধেক চালু রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশনার বিষয়ে বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, অন্তত কিছুদিন জেলা পর্যায়ে ডিসি, এসপি, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে বসে যত বাস আছে, তার অর্ধেক চালাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়। যাতে বাইরে থেকে চাপ কম হয়। এক সঙ্গে বেশি গাড়ি ঢাকা বা চট্টগ্রামে ঢুকতে না পারে।
এ সিদ্ধান্ত কেবল আন্তঃজেলার জন্য কিনা, তা প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি স্থানীয় প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক স্থানীয় প্রশাসন এটা ঠিক করবে। ডিসি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মালিক ও শ্রমিকেরা বসে পদ্ধতি বের করবেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিবেচনায় আগে আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেয়া হতো। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, সড়ক, রেল ও নৌপথে আসনসংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন বা যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলাপর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহনসংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
সবকিছু খুলে দেয়ার পর সড়কপথে অর্ধেক গণপরিবহন তথা বাস চললে মানুষের চাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে, যা সংক্রমণের বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানান, প্রথমত, শতভাগ যাত্রী নিয়ে অর্ধেক বাস চললে চাপ বাড়বে। এর কী যুক্তি থাকতে পারে, সেটি তারাও বুঝতে পারছেন না। এমনিতেই শ্রমিকেরা কর্মহীন অবস্থায় আছেন। এখন অর্ধেক বাস চললে শ্রমিকেরাও অসুবিধায় পড়বেন। এজন্য এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা দরকার।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ চলছে। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়, যা প্রথমে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছিল। পরে তা ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
সাননিউজ/এমএইচ