নিজস্ব প্রতিবেদক:
“বিএনপি মহাসচিব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারে অংশ নিতে পারবেন, অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অংশ নিতে পারবেন না- এটা কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড? আমি এটা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই। নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন ওবায়দুল কাদের।”
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক ভবনের আধুনিকীকরণ কার্য কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমি আপনাদের বিবেকের কাছেই প্রশ্ন রাখছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কাকে বলে? বিএনপি মহাসচিব, তিনি প্রকাশ্যে জনসভা করতে পারবেন, নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন, গণসংযোগ করতে পারবেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেটা করতে পারবেন না। মওদুদ আহমদ সাহেব, খন্দকার মোশাররফ সাহেব প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন, কিন্তু আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, তারা এমপি, সে কারণে তারা প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। সেটা কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলো? আমি এটা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই। এটা কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড? এখানে ফিল্ডে মির্জা ফখরুল আছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেই। এই বিষয়টার আমি কোনো সুরাহা খুঁজে পাচ্ছি না।”
পৃথিবীর বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ত্রিপুরা, কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীও প্রচারণায় অংশ নেন। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। সেখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কোনো প্রশ্ন উঠছে না। আইন লঙ্ঘন হয় না। বাংলাদেশে কেন লঙ্ঘন হবে। সে প্রশ্নের জবাব আমরা আজও খুঁজে পাইনি। আমি তার পরেও বলব, নির্বাচন কমিশনের যে আচরণবিধি, আমরা তা পালন করব। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমি মন্ত্রী-এমপি হিসেবে আচরণবিধি মেনে চলছি। আচরণ বিধি যেহেতু হয়েই গেছে। তবে এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে, বিতর্ক আছে, যেটা আমি বললাম।”
সড়কের ক্ষতি কমাতে ২৮টি লোড কন্ট্রোল স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “একনেকে ২৮টি লোড কন্ট্রোল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার হয়েছে। ভারী পরিবহন সড়ক নষ্ট করে দিচ্ছে। ক্ষতি থেকে সড়কগুলোকে রক্ষা করতে হলে আমাদের প্রয়োজন লোড কন্ট্রোল স্থাপন ব্যবস্থা কার্যকর করা।”