নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের টঙ্গী ভাদাম এলাকায় ক্রসলাইন নীট ফেব্রিক্স লি. কারখানায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শ্রমিক-পুলিশ অন্তত ১৫ আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে শ্রমিক কর্তৃক অসদাচরণ ও গুজব ছড়িয়ে কারখানায় অহেতুক আন্দোলন করে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত বুধবার ১৭ শ্রমিককে শ্রম আইনানুসারে সকল পাওনাদী পরিশোধ করে চাকুরি থেকে অব্যাহুতি দেন কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় শ্রমিকরা ওই দিনে বিকালে ক্ষুব্ধ হয়ে ফের বিক্ষোভ করে।
পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ রাতে অনিদিষ্টকালের বন্ধের নোটিশ দিয়ে কারখানার লে-অফ করে দেন। এ ঘটনার পর আজ সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে কারখানার সামনে অনির্দিষ্টকাল বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ পর্যায় শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে কারখানায় ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ এতে বাধা দেয়। পরে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং বেশ কিছু ফাঁকা গুলি ছোড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্য ও দশ শ্রমিক আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. লিটু আহম্মেদ বলেন, শ্রমিকরা কারখানায় অহেতুক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। আয়রন সেকশনের তিন শ্রমিক কর্তৃপক্ষের সাথে অসদাচরন করলে শোকজ দেয়া হয়, এতে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে আন্দোলনে নামেন, পরে গত বুধবার ১৭ শ্রমিককে শ্রম আইনানুসারে সকল পাওনাদী পরিশোধ করে চাকুরি থেকে বাদ দেয়া হয়। এ বিষয়টি শ্রমিকরাও মেনে নেন। এ ঘটনার পর ওই ১৭ শ্রমিক টাকা পয়সা নিয়ে কারখানা থেকে বের হয়ে ফের আন্দোলন শুরু করেন। পরে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারখানা ফের চালু হবে।
এ ব্যাপারে টঙ্গী জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
সান নিউজ/এফএআর