নিজস্ব প্রতিনিধি: আলোচিত ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ নায়িকা পরীমনির মামলায় ১৫ দিন কারাগারে ছিলেন। বর্তমানে জামিনে কারাগারের বাইরে রয়েছেন। তিনি দাবি করেন, এই চিত্রনায়িকা মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা সাজিয়ে তাকে ফাঁসিয়েছেন। এতে তিনি সামাজিক ও আর্থিকসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই তিনি পরীমনির বিরুদ্ধে দুটি মামলার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমি পরীমনির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করব। এরমধ্যে একটি হলো মানহানির। আমি প্রস্তুতি শেষে থানায় গিয়ে মামলা করব। তার মিথ্যা অভিযোগে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে।
গত ১৩ জুন ফেসবুক পোস্টে এবং পরে বাসায় সংবাদ সম্মেলনে পরীমনি অভিযোগ করেন, গত ৯ জুন ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা চালিয়েন নাসির উদ্দিন মাহমুদ। পরে ১৪ জুন সাভার মডেল থানায় নাসির ও অমিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। এরপর নাসির উদ্দিন ও অমিসহ পাঁচজনকে উত্তরা থেকে আটক করে ডিবি।
এদিকে, বুধবার রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করেছে র্যাব। র্যাব জানায়, পরীমনির বাসার যাবতীয় আসবাবে থরে থরে সাজানো বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। বিদেশি ব্র্যান্ডের যত ধরনের মদ আছে প্রায় সবই সেখানে মিলেছে। ফ্রিজ ভর্তি ছিলো নামি-দামি ব্র্যান্ডের মদ। পাশাপাশি এই নায়িকার বাসায় মিলেছে ইয়াবাও।
এমনকি সেখানে ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি-আইসও পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এ মাদক কারবারে কয়েকটি চক্র ও উচ্চবিত্ত ঘরের কিছু তরুণ গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের মধ্যেই এ ধরনের মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি।
এর আগে র্যাবের অভিযান দেখে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ শুরু করেন পরীমনি। তিনি লাইভে অভিযোগ করেন, তার বাসায় ‘বিভিন্ন পোশাকে’ লোকজন এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে বলছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন।
পরে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে।’
সাননিউজ/এমএইচ/এমআর