নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত সেজান জুস কারখানায় বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুন লেগেছিল।
বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ) ইমাম হোসাইন।
তিনি বলেন, ‘গত ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত সেজান জুস কারখানায় আগুন লেগেছিল। বৈদ্যুতিক তার থেকে ওই আগুন লেগেছিল বলে তদন্তে বেড়িয়ে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তদন্তে আমরা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। এসব কাজ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে হয়। তদন্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখনো বেশকিছু রিপোর্ট লাগবে, বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট লাগবে, কিছু বিশেষজ্ঞের রিপোর্ট লাগবে। মামলায় অনেক অগ্রগতি আছে। খুব শিগগিরই চার্জশিট দিবো।’
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকার হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৪৯ জনের মরদেহই আগুনে পুড়ে অঙ্গার ও কয়লার মতো হয়ে যায়। তাই তাৎক্ষণিক কারো পরিচয় জানা যায়নি। পরবর্তীতে নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষার পর ৪৫ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়। আজ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা ২৪ শ্রমিকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি মরদেহ শনিবার হস্তান্তর করা হবে। এখনো তিনজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
সান নিউজ/ জেআই/এমবি