বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে আগেই। প্রস্তুত রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর (জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড)। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষণগণনার ঘোষণা করবেন। এরপরই চালু হয়ে যাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসানো ক্ষণগণনার ৮৩টি ঘড়ি। একই সঙ্গে শুরু হবে আগামী ১৭ মার্চ থেকে মুজিব জন্ম শতবর্ষের বছরব্যাপী কার্যক্রম।
বিকালে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসার কথা রয়েছে। তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী আবহ তৈরি করা হবে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী বিমান অবতরণ, বিমান থেকে আলোক প্রক্ষেপণ ও তোপধ্বনি, প্রতীকী গার্ড অব অনারের আয়োজন করা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার পাশাপাশি মুজিব বর্ষের লোগো উন্মোচন করবেন। এরপর সারা দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি জায়গা, বিভাগীয় শহর, ৫৩ জেলা, দুই উপজেলা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীতে বসানো ৮৩টি স্থানে ক্ষণগণনার ঘড়ি সচল হবে।
শুক্রবারের এই আয়োজনে সরাসরি অংশ নেবে ১২ হাজার দর্শক, যারা ইতিমধ্যেই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। সরকারি ও বেসরকারি টিভি চানেলগুলো সরাসরি অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশের বাইরেও বিশ্বের ৭৭টি মিশনেও চলছে জাতির পিতার জন্মশত বর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি। চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া বছরব্যাপী বর্ণাঢ্য এ আয়োজন শেষ হবে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, আগামী ১০ জানুয়ারি মুজিববর্ষের কাউন্ট ডাউন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় থাকবে দেশের সশস্ত্র বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সশস্ত্র বাহিনীকে সার্বিক সহযোগিতা করবে।
পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন দেশে ফেরেন ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। ঐতিহাসিক এই দিনটিতেই মুবিজবর্ষের ক্ষণগণনা শুরু সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান।