নিজস্ব প্রতিবেদক : শাহজালাল বিমানবন্দর কাস্টমসে জব্দ ব্রাহামা জাতের ১৮টি গরু ছাড়াতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। গরুগুলো বর্তমাণে সাভার ডেইরি ফার্মে রয়েছে বলে জানা গেছে।
মোহাম্মদপুরের সাদেক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান এ রিট দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল একক বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে। রিটের পক্ষের শুনানি করবেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, রিটে আমরা ১৮টি গরু কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ থেকে রিলিজ চেয়েছি। মোহাম্মদপুরের সাদেক অ্যাগ্রোর মালিককে গরুগুলো বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশনা চেয়েছি।
এর আগে গত ৫ জুলাই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা ব্রাহামা জাতের ১৮টি গরু জব্দ করে ঢাকা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি গরুর বাজার মূল্য ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মোহাম্মদ আবদুস সাদেক জানান, ৫ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ কার্গো ফ্লাইটে করে গরুগুলো শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। পরে খবর পেয়ে ঢাকা কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা বিমানবন্দর থেকে গরুগুলোকে মালিকবিহীন অবস্থায় জব্দ করেন।
মোহাম্মদ আবদুস সাদেক জানান, বাংলাদেশে ব্রাহামা জাতের গরু আমদানির অনুমতি না থাকা এবং গরুর আমদানিকারককে না পাওয়ায় এগুলো জব্দ করা হয়েছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউস সূত্র জানিয়েছে, ১৩ মাস থেকে ৬০ মাস বয়সী এই গরুগুলোর আমদানিকারক হিসেবে মোহাম্মদপুরের সাদেক অ্যাগ্রোর নাম লেখা রয়েছে। তবে বিমানবন্দরে জব্দ করা গরুগুলো নিতে কেউ আসেনি।
জানা যায়, ঢাকা কাস্টমস হাউস হেফাজতে গরু রাখার ব্যবস্থা না থাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের জিম্মায় সেগুলো রাখা হয়। পরে গরুগুলো সাভার ডেইরি ফার্মে হস্তান্তর করা হয়।
সান নিউজ/এমএইচ