নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলছে কঠোর লকডাউন। তবে এমন অবস্থায়ও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সাধারণ মানুষ ও ব্যক্তিগত পরিবহনের চাপ বেড়েছে।
সোমবার (২ আগস্ট) রাজধানীর বাড্ডা, সাতরাস্তা, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন শাহিদুর রহমান। তিনি নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। প্রতিদিন মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। সান নিউজকে শাহিদুর রহমান জানান, চলমান লকডাউনেও তার অফিস খোলা। তাই চাকরি বাঁচাতে প্রতিদিনই তাকে অফিসে আসতে হয়।
আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মকর্তা মামুন শেখ জানান, যেভাবে রাস্তায় মানুষ বের হয়েছে, তাতে লকডাউনের কার্যকারিতা কী থাকলো? শুধু গণপরিবহন বন্ধ রেখে এমন লকডাউনের মানে কি?
তেজগাঁও সরকারি পলিটেকনিকের সামনে বসানো চেকপোস্টের দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ মাসুম জানান, লকডাউনের মধ্যে অনেকেই প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হচ্ছে। আর যারা অপ্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছে তাদের শনাক্ত করে মামলা দেয়া হচ্ছে।
এই চেকপোস্টের পাশে বিজিপ্রেসের সামনে বসানো হয়েছে আরেকটি পুলিশ চেকপোস্ট। সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট শংকর ও মঞ্জুরুলের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, অন্যদিনের চাইতে রোববার সকাল থেকে সড়কে পরিবহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। গার্মেন্টস খুলে দেওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির যাতায়াত বেড়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আটদিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে এই বিধিনিষেধ।
সান নিউজ/এমবি