জাহিদ রাকিব
করোনাভাইরাস সংকমণ রোধে দেশব্যাপী ২৩ জুলাই হতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন চলছে। এ সময় সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ৩০ জুলাই মন্ত্রিপরিষদের এক আদেশে গার্মেন্টস ও শিল্প-কারখানা চালু করা হয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে ঢাকামুখী হতে তাদের নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কেউ কেউ চার গুণ ভাড়া বেশি দিয়ে ঢাকায় আসছেন। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে এসব যাত্রীদের সাথে কথা বলে তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা জানা যায়।
মোহাম্মদ বাপ্পি কবির। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। সোমবার (২ আগস্ট) থেকে অফিস খোলা তাই দিনাজপুর থেকে নাবিল পরিবহনের একটি বাসে করে রওয়ানা দেন ঢাকার উদ্দেশ্য। তার অভিযোগ, স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া ৬০০ টাকা আর আজকে ভাড়া নিলো ২৫০০টাকা। তাও আবার আমাদেরকে সাভারের চন্দ্রায় নামিয়ে দিয়েছে। চন্দ্রা থেকে কোন বাস না পেয়ে গাবতলী পর্যন্ত হেটে আসতে হলো।
রোববার (১ আগস্ট) স্বল্প সময়ের জন্য দূরপাল্লার বাস চলার অনুমতি পাওয়ার পর রাজশাহী, দিনাজপুর, মেহেরপুরসহ উত্তরবঙ্গগামী প্রতিটি জেলা থেকে রাজধানীতে আসতে শুরু করেছে মানুষ। অতিরিক্ত ভাড়া আর মাঝপথে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ঢাকামুখী এসব যাত্রীর।
যশোর থেকে গাবতলী পর্যন্ত মামুন পরিবহনের টিকেট কেটে বাসে উঠেছেন মেহেদী হাসান। বাস তাকে সাভারের হেমায়াতপুর নামিয়ে দেয়। ফলে হেমায়াতপুর থেকে গাবতলী পর্যন্ত হেটে আসতে হয় তাকে। আর গাবতলীতে গণপরিবহন সংকট থাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করেন মেহেদী হাসান।
রংপুর থেকে বাসে করে আসছেন হেমায়াতপুর পর্যন্ত শিউলি আক্তার দম্পতি। বেলা বাড়ায় বাস তাদের গাবতলী পর্যন্ত না এসে নামিয়ে দিয়েছে হেমায়াতপুরে। তাতেই শুরু ভোগান্তির।
পাবনা থেকে আরিচা ঘাট পর্যন্ত ট্রাকে এসেছেন ইলিয়াস হোসেন। আরিচা ঘাট পার হয়ে সেলফি পরিবহনে এসেছেন গাবতলী। তিনি জানান, অন্য সময় ঘাট থেকে গাবতলী পর্যন্ত আসতে ১০০ টাকা লাগতো। আজ লেগেছে ৪০০ টাকা। তার উপর বাসের সব সিটে ছিলো যাত্রী।
দুই সিটে একজন যাত্রী বসার কথা থাকলেও মানছেন না কেন‑ এমন প্রশ্নের জবাবে মামুন পরিবহনের চালক আলম দোষ চাপান যাত্রীদের উপর। তিনি বলেন, যাত্রীরা যদি উঠে তাহলে আমি কি করবো।
এছাড়া দূরপাল্লার যেসব পরিবহন হেমায়াতপুর পর্যন্ত আসছে, সেগুলোর অধিকাংশ বাসে দুই সিটে একজন যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়।
সান নিউজ/জেআই/এফএআর