জাহিদ রাকিব : রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে কয়েক ঘণ্টার জন্য গণপরিবহনসহ নৌযান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। রোববার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই অনুমতি দেয়া হয়।
এ অবস্থায় রোববার সকালে রাজধানীতে যাত্রী ও গণপরিবহনের তেমন দেখা মেলেনি। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর সংখ্যা বাড়ে।
রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ, খিলগাঁও ও সায়েদাবাদ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকালের দিকে হাতেগোনা কয়েকটি গণপরিবহন চলাচল করলেও যাত্রীর তেমন চাপ ছিলো না। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে ছেড়েছে যানবাহন ও ভিড় বেড়েছে যাত্রীর। সকালে স্ট্যান্ডে দাঁড় করানো থাকলেও বেলা বাড়ার পর এক এক করে সড়কে নামানো হয়। এসব বাসে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি।
যাত্রীরা জানায়, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ ছিল। তবে কয়েক ঘণ্টার জন্য গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি পাওয়ায় তারা নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিতে বাসা থেকে বের হয়েছেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া গুনছেন তারা।
সায়েদাবাদ এলাকায় কথা হয় বিআরটিসির বাস চালক সবুজ মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে দুই ট্রিপ মারছি। দুপুর ১২টার পরে আর বাস চালাতে পারবো না।’
এদিকে সায়েদাবাদ এলাকায় দেখা যায়, শনিবার রাত থেকে দূরপাল্লার বাস চলার কথা থাকলেও ওই টার্মিনাল এলাকা থেকে বেশি বাস ছেড়ে যায়নি।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ৮ দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।
সান নিউজ/এসএ/এমবি