জাহিদ রাকিব: করোনা সংক্রমণ রোধে ঈদুল আজহার পর থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের আজ অষ্টম দিন চলছে। সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী বাসা থেকে অপ্রয়োজনে বের না হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হলেও তা মানছেন না অনেকেই। বেশিরভাগ মানুষেই বের হয়েছেন অপ্রয়োজনে। আবার অনেকে অতি-উৎসাহী হয়ে সড়কে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান দেখতে। তবে বেশির ভাগ মানুষই বাইরে বের হচ্ছেন শুধু মাত্র চা খেতে।
শনিবার (৩১ জুলাই) সকালে রাজধানীর ভূঁইয়া পাড়া রোডের একটি ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকানের সামনে মানুষের জটলা। চায়ের দোকানে আড্ডা আর খোশগল্পে মেতে ওঠা লোকজনের কারও মুখে মাস্ক আছে তো কারও মুখে নেই। আর সামাজিক দূরত্বের প্রশ্ন এখানে যেনো ছেলে খেলা।
সরেজমিনে রাজধানীর অলিগলিতে টং এবং ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকানগুলোয় এমন দৃশ্য দেখা গেছে। চায়ের দোকান ছাড়াও এসব এলাকার অলি-গলিতে মানুষের জটলা ছিলো চোখে পড়ার মতো।
ভূঁইয়া পাড়া রোডে কথা হয় কয়েকজনের সাথে। সড়কে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কেউই সঠিক কারণ জানাতে পারেননি। তারা বলছেন, বাসায় থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে উঠছেন। তাই বন্ধু বা পরিচিত জনদের সঙ্গে খানিকটা সময় কাটানোর জন্য বের হয়েছেন।
একই রোডের বাসিন্দা আমজাদ পাঠোয়ারীর সঙ্গে কথা হয় ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকানে। তিনি জানান, 'অফিস বন্ধ। বাসায় আর কত থাকা যায়? তাই একই ফ্ল্যাটর কয়েকজন মিলে চা পান করতে বের হয়েছি। সঙ্গে বাসার জন্য কিছু বাজারও করা হবে'।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় সান নিউজের । তাদের মধ্যে রাফি নামে এক জন জানান, গলির পরিচিত বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতেই সড়কে এসেছেন। বাসায় থাকতে থাকতে তারা বিরক্ত হয়ে উঠছেন।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাজার, খাবার দোকান, হোটেল, ওষুধের দোকানসহ প্রয়োজনীয় দোকানপাটের বাইরে অন্যান্য দোকান না খোলার নির্দেশনা থাকলেও শাটার নামিয়ে প্রায় গলিতেই চলছে বেচাকেনা।
বনশ্রী এলাকার সানজিদা ইলেকট্রনিক্সের দোকানের এক কর্মচারী জানান, পুরো লকডাউনে তাদের দোকান খোলা রাখা হয়েছে। শাটার কিছুটা খোলা রেখে বাইরে মালিকের পাহারায় তারা পণ্য বিক্রি করছেন। তবে মাঝে মধ্যেই পুলিশ ধাওয়া করে।এ নিয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয় তাদের।
উল্লেখিত, করোনা সংক্রমণ কমাতে ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল হয়। ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।
সান নিউজ/এসএ