নিজস্ব প্রতিবেদক: হেলেনা জাহাঙ্গীর বহুল আলোচিত। আলোচনার বেশিরভাগই নেতিবাচক। তার মালিকানায় রয়েছে জয়যাত্রা নামে একটি আইপি টিভি। এই টিভির মাধ্যমে তিনি প্রচারে থাকার চেষ্টা করেন। জয়যাত্রার নানা অনুষ্ঠান নিয়েও আছে আলোচনা-সমালোচনা-ট্রল। সর্বশেষ তিনি আলোচনায় আসেন ‘আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একট সংগঠনের ঘোষণা দিয়ে।
এই সংগঠনের পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগে সাংগঠনিকভাবে চাপে পড়েন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সংগঠনের নীতিবহির্ভূত হওয়ায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগে পদ হারানোর সপ্তাহ না পেরোতেই আটক হলেন আলোচিত হেলেনা। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সরঞ্জাম পেয়েছে র্যাব।
হেলেনার বাসায় যা পেয়েছে র্যাব
র্যাবের অভিযানে হেলেনার বাসা থেকে হরিণের চামড়া, ক্যাংগারুর চামড়া, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা, ক্যাসিনোসামগ্রী, দেশি-বিদেশি ছরি-চাকু, একাধিক ওয়াকিটকি, বিদেশি মুদ্রা, বিপুল সংখ্যক এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। সূত্র বলছে, এছাড়াও বাসা থেকে কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করেছে র্যাব। এগুলো যাছাই-বাছাই করা হবে। র্যাবের সদস্যরা হেলেনার বাসায় এতকিছু দেখে অবাক হন।
রাত আটটার দিকে র্যাব সদস্যরা হেলেনার বাসভবনে প্রবেশ করেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে র্যাবের তিন নারী সদস্য ওই বাসায় প্রবেশ করেন। এসময় র্যাব বাসার মূল ফটক বন্ধ করে দেয়। তখন কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে ১২টার দিকে তাকে আট করা হয়।
জয়যাত্রা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হেলেনা গত ১৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য হয়েছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন তিনি।
সাননিউজ/এমআর