জাহিদ রাকিব
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যেখানে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। সেখানে আবার যুক্ত হয়েছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। দিন দিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। ডেঙ্গু নিধনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে শুরু করেছে চিরুনী অভিযান। অথচ স্বয়ং সিটি করপোরেশনের মাঠেই এখন এডিস মশার লার্ভা।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)র ১১ নাম্বার ওয়ার্ডের শাহজাহানপুর রেলওয়ে খেলার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানির ঈদে এই মাঠে গরুর হাট বসেছিলো। আর হাটের বর্জ্য ভালোভাবে অপসারণ না করায় মাঠে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার উৎপত্তি বাড়ছে। আর এই এডিস মশার উৎপাতে এলাকাবাসী শঙ্কিত।
রেলওয়ে কলোনিতে বসবাস করেন আবু ছিদ্দিক। তার ৭ বছরের মেয়ে সামিয়াকে নিয়ে মাঠে সাইকেল চালানো শিখাতে এসেছেন তিনি। মাঠে এসে দেখেন মাঠে এখনো গরুর হাটের বর্জ্য অপসারণ করা হয়নি। পুরো মাঠে মশার উৎপাত। ফলে বাধ্য হয়ে মেয়েকে নিয়ে চলে যান তিনি।
আবু ছিদ্দিক সাননিউজকে বলেন, আগে মাঠে সকাল-বিকাল কলোনির মানুষ এসে ব্যায়াম করতো। বাচ্চারা এখানে সারাদিন খেলাধুলা করতো। মাঠের খানা-খন্ধে পানি জমে যেভাবে মশার উৎপাত বেড়েছে তাতে এখানে সময় কাটানো সম্ভব না।
স্থানীয় বাসিন্দা সালেহা বেগম বলেন, গরুর হাটের সময় এখানে যেন কেয়ামত গেছে। একদিকে করোনার ভয় অন্যদিকে ভালোভাবে মাঠের বর্জ্য পরিষ্কার না করায় ডেঙ্গুর ভয়ে আছি। আর এই কারণে সকাল-বিকাল আমরা আসতে পারি না।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে ৪ দিন কোন রকম এসে ওষুধ ছিটায়। ওষুধ দিলে মনে হয় মশার উৎপাত বাড়ে।
শাহাজাহানপুর রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন মোহাম্মাদ হোসেন। তিনি বলেন, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ। আমরা যে একটু মাঠে খেলে সময় কাটাবো তার কোন সুযোগ নেই। মাঠে জমে থাকা পানিতে মশার কারণের আর হাটের বর্জ্য অপসারণ না করায় আমরা খেলতে পারি না এখন।
এই বিষয়ে সান নিউজের সাথে কথা হয় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মির্জা আসলাম আসিফ।
কাউন্সিলর বলেন, আমার জানামতে প্রতিদিনই এডিস মশার লার্ভা নিধনে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। তারপও যদি মাঠে কোন মশার লার্ভা থাকে তাহলে আমি এখনই লোক পাঠাচ্ছি।
মাঠের বর্জ্য অপসারণ নিয়ে তিনি বলেন, মাঠের বর্জ্য অপসারণ পুরোপুরি শেষ হয়নি। মাঠে একটু পানি কমে গেলে আমরা পরিষ্কার করে মাঠকে খেলার উপযোগী করবো।
সান নিউজ/জেআই/এফএআর