নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ বিশ্ব বাঘ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘বাঘ বাঁচাবে সুন্দরবন, সুন্দরবন বাঁচাবে লক্ষ প্রাণ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় দেশে হঠাৎ করেই বেড়েছে বাঘের মৃত্যু। এর অন্যতম কারণ মানুষের পিটুনি এবং চোরা শিকারিদের অস্ত্রের আঘাত। মানুষের এমন কর্মকাণ্ডে গত দেড় বছরে তিনটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
শুধু বাঘ হত্যা নয়, সুন্দরবনে বেড়েছে আগুন লাগার ঘটনাও। গত দেড় বছরে মোট পাঁচবার আগুন লেগেছে সুন্দরবনে।
২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রথম বাঘ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১৩টি রাষ্ট্র নিজ নিজ দেশে বাঘের সংখ্যা এক যুগের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছিল। এর মধ্যে নেপাল বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। ভারত ও ভুটানও দ্বিগুণের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও সেই লক্ষ্য থেকে দূরে আছে।
প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বাঘ রক্ষায় “স্মার্ট পেট্রলিং”সহ নানা কর্মকাণ্ড চালু রেখেছি। এ কারণে বাঘের সংখ্যাও বেড়েছে। তবে বাঘ হত্যা ও শিকার বন্ধে আরও কিছু পদক্ষেপ নেবো।’
বাংলাদেশে ২০০৪ সালের পায়ের ছাপ গুনে করা জরিপে ৪৪০টি বাঘ থাকার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ক্যামেরা ফাঁদের মাধ্যমে করা জরিপে বাঘের সংখ্যা বেরিয়ে আসে ১০৬টি। এরপর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আরেকটি শুমারির মাধ্যমে জানা যায় বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। ২০২১ সালে আরেকটি জরিপ করার কথা থাকলেও এ বছর তা না–ও হতে পারে। তবে আগামী বছরের শুরুতে বাঘ সম্মেলনের কথা রয়েছে রাশিয়ায়। সেখানে কোন দেশ কতটুকু এগোল, তার হিসাব–নিকাশ হবে।
সান নিউজ/ এমএইচআর