সাননিউজ ডেস্ক: সরকারি খাদ্যশষ্য মজুদের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে সরকারি খাদ্যশষ্যের মজুদ ১৬.৬৯ লাখ মেট্রিক টন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টায় খাদ্যশষ্য মজুদের এ রেকর্ড হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশে সিএসডি ও এলএসডি গোডাউনে বর্তমান ধারণ ক্ষমতা ২১ লাখ মেট্রিক টন। চলমান অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ অভিযানে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ৭ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৩ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন ধান এবং ১ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহ করা হয়েছে। গত কয়েক মাসে বিদেশ থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম। আরও ৫ লক্ষাধিক মেট্রিক টন চাল বিদেশ থেকে আসার অপেক্ষায় আছে।
এছাড়া ১৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে বোরো সংগ্রহ অভিযান। এ সময়ের মধ্যে আরও ৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্রহের আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি খাদ্যগুদামে মোট মজুদের পরিমাণ ১৬.৬৯ লাখ মেট্রিক টন। আগস্ট শেষে এ মজুদের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। ফলে সরকারি গোডাউনে খাদ্যশষ্য মজুদের স্থান সংকুলান নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম বলেন, এই মৌসুমে সরকারি সংগ্রহ মূল্য বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় সংগ্রহ অভিযান সফল হওয়ার পথে। কৃষক এবার ফসলের নায্যমূল্য পেয়ে খুশি।
এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একজন মানুষও যেন খাবারের কষ্ট না পায় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় সব সময় সচেষ্ট ছিল।
তিনি বলেন, খাদ্য মজুদ সক্ষমতা বাড়াতে তিনটি সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষের পথে। ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি সাইলোর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং চারটির টেন্ডার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। সম্প্রতি একনেকে ৩০টি পেডি সাইলোর অনুমোদন পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ১৭০টি পেডি সাইলো নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। এগুলো নির্মিত হলে খাদ্য শস্য মজুদ নিয়ে আর চিন্তা থাকবে না।
সাননিউজ/এমআর