মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
জাহিদ রাকিব
জাতীয় প্রকাশিত ২৮ জুলাই ২০২১ ০৬:০৫
সর্বশেষ আপডেট ২৮ জুলাই ২০২১ ০৯:২৬

চলছে না শুধু গণপরিবহন 

জাহিদ রাকিব : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাজধানীসহ সারা দেশে চলছে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। চলমান বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে রাজধানীতে শুধু গণপরিবহন নেই। তাছাড়া প্রায় সব ধরনের গাড়ি সড়কে চলতে দেখা গেছে । বিগত দিনের মতো সড়কে চেকপোস্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান থাকলেও কোনো ভাবে থামছে না বিনা কারণে মানুষের যাতায়াত।

বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ধানমন্ডি, মগবাজার, কাকরাইল, পল্টন ও মতিঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট ছিলো ঢিলেঢালা। কোনো কোনো মোড়ে চেকপোস্ট থাকলেও তাতে পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি।

এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, সড়কে মোটরসাইকেলে দুজন এবং রিকশায় ২-৩ জন চলাচল করছে। মোটরসাইকেলে দুজন চলাচল করলেও পুলিশ তাদের দেখে অনেকটা নিশ্চুপ অবস্থায় রয়েছে। এমনকি মোটরসাইকেলে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলতেও দেখা গেছে অনেক রাইডারকে।

এছাড়া রাজধানীর কিছু কিছু সড়কে যানজট না থাকলেও কোথাও কোথাও সিগন্যাল লক্ষ করা গেছে। পুরো সড়ক জুড়েই ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা আর মোটরসাইকেলের আধিপত্য চলছে। সড়কে মানুষের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার মতো।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কারওয়ান বাজারে কর্তব্যরত একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, রাস্তায় চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও অনেকে বিনা প্রয়োজনেও রাস্তায় বের হচ্ছেন। আমরা এমন ক্ষেত্রে জরিমানা করছি। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছেন। তবে জরুরি সেবায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা চলাচল করতে পারছেন।

এ বিষয়ে রমনা ট্রাফিক জোনের সহকারী বলেন, ‌‘রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেও দিনের পর দিন সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিতে মাঠে থেকে কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা। সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, মানুষ নানা অজুহাত দিয়ে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করছে। কঠোর লকডাউনের মধ্যেও সবারই জরুরি কাজের অজুহাত। সকালে অফিস টাইমে গাড়ির চাপ কিছুটা বেশি থাকে। এরপর ১১টার পর সেই চাপ ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আবার বিকেল ৪টার পর কিছুটা চাপ থাকে। তবে সব সময়ই পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করেন সড়কে থাকার জন্য।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কামাল উদ্দীন বলেন, বাসা থেকে রাস্তায় বের হলেই চারদিকে মানুষ আর মানুষ। এতো মানুষের ভিড় তাতে বিধিনিষেধ মনেই হচ্ছে না। রিকশা ভাড়া দিতে দিতে গত কয়েকদিনে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। বাসটাই শুধু চলছে না। বাস চললে অন্ততপক্ষে যাতায়াতে কিছু টাকা খরচ কম হতো।

বাংলামোটর সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা শফিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, এটার নাম বিধিনিষেধ! সড়কে দেখেন কত গাড়ি চলছে। পুলিশের কোনো বাধা নেই। নিম্ন আয়ের মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা না করে বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। কষ্টে পড়ে মানুষগুলো সড়কে নামছে। তাই পুলিশ কিছুই করতে পারছে না। এভাবে টানা লকডাউন থাকলে মানুষ না খেয়ে মরে যাবে।

সকালে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন নাজমুন নাহার। তিনি বলেন, অফিসের কাজে উত্তরা যেতে হবে। সেখানে একটি জরুরি মিটিং আছে কিন্তু রাস্তায় গণপরিবহন নেই। কীভাবে যাবো বুঝতে পারছি না।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।

সান নিউজ/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি জানালো মুক্তিজোট

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী হরতাল পালনের আহ্বান জ...

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে হরতাল অবরোধ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান ধ্বংসযজ্ঞ...

'শূন্যতা থাকে না, মানুষ অন্য দেশে সমাধান খুঁজে নেয়'

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ভারত ভিসা দেবে কি না, সেটা তাদের...

ফরিদপুরে বাস উল্টে খাদে, নিহত বেড়ে ৭

ফরিদপুরের সদরে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ার ঘটনায় আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা